এই ছবিতে শুয়ে থাকা তরুণ আব্দুল হামিক বলে এএফপির ঢাকা ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম জানিয়েছেন, যাকে সাব্বির হাসান (ইনসেটে) বলছে তার পরিবার
ইন্দোনেশিয়ার যে ছবি দেখে এক বছর আগে সাগরে ডুবে যাওয়া সাব্বির হাসান বলে শনাক্তের দাবি করেছিল তার পরিবার, সে সাব্বির নয়, তার নাম আব্দুল হাকিম। হাকিমের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা গ্রামে। তারা তিন বন্ধু সেখানে আছে।
ওই ছবিটি সম্পর্কে এএফপির ঢাকা ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম শনিবার বলেন, তাদের সংবাদ সংস্থার তোলা ওই ছবি নিয়ে কথা ওঠার ওপর জাকার্তায় যোগাযোগ করে তারা জেনেছেন, ছবির ওই তরুণ বাংলাদেশি হলেও তার নাম আব্দুল হাকিম।
তিনি বলেন, ''ছবিটি আমাদের। ছবিটি সাব্বিরের বলে কথা উঠার পর আমরা জাকার্তা ব্যুরোকে জানাই। তারা আবার অনুসন্ধান করে।''
সেখানে উদ্ধার মিজানুর রহমান নামে একজনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন শফিকুল আলম, যিনি ছবির ওই তরুণের সঙ্গী।
''মিজান জানিয়েছে, হাকিমের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা গ্রামে। তারা তিন বন্ধু সেখানে আছে।'' আব্দুল হাকিম অসুস্থ হওয়ায় তার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি বলে জানান শফিকুল আলম।
অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে সাগরে ভাসমান কয়েক হাজার মানুষ এখন ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
ওই আশ্রয় শিবিরে এক তরুণের ছবি বাংলাদেশের সংবাদপত্রে দেখার পর সাব্বিরের মা দাবি করেন, ওই তরুণ তারই ছেলে সাব্বির। গত বছর বাংলা নববর্ষে বন্ধুদের সঙ্গে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপে বেড়া গিয়ে ডুবে গিয়েছিল সাব্বির। তার সন্ধান আর মেলেনি।
সাব্বিরকে শনাক্তের দাবি করার পর বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন সাব্বিরের বাবা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুর রহমান।
'এখনও কোনো সাড়া পাইনি', বলেন সাব্বিরের মা।
আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির ৩৩ জন বন্ধুর সঙ্গে ২০১৪ সালে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপে গিয়েছিলেন।
ওই বছরের ১৪ এপ্রিল সাগরে গোসলে নেমে ডুবে যান কয়েকজন। এরপর কয়েকজনকে জীবিত এবং চারজনের লাশ উদ্ধার করা গেলেও সাব্বিরের পাশাপাশি ইশতিয়াক বিন মাহমুদ উদয় নামে তার এক বন্ধুর খোঁজ আর মেলেনি।
কক্সবাজার যাওয়ার আগে গত বছরের ১২ এপ্রিল সাব্বির তার ফেইসবুক পাতায় স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, ''চলে যাচ্ছি দোস্ত ! একদম নেটওয়ার্কের বাইরে !!''।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ মে ২০১৫/ এস আহমেদ