বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বারেক ও ভাই ভাই বাহিনী নামের দু’দল বনদস্যুর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পড়ে কলামুলা খালে অবস্থানরত তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের মধ্যবর্তী শ্যালা নদীর কলামুলা খালে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জেলেরা হলেন, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের ছন্দেহ আলীর ছেলে এছাহাক আলী (৩০), মোরেলগঞ্জ উপজেলার পিসি বারইখালী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ইউনুচ আলী (২৫) ও একই গ্রামের মোস্তফা হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩০)। এদের মধ্যে আহত ইছাহাক আলীকে শরণখোলা হাসপাতালে ও বাকি দু'জনকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুন্দরবন বিভাগ ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. কবির তালুকদার ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে বনদস্যু বারেক বাহিনী ও ভাই ভাই বাহিনী ধানসাগর স্টেশনের শ্যালা এলাকা দখল নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই দু’গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আধাঘন্টা ধরে চলে এ বন্দুকযুদ্ধ। এসময় কলামুলা খালে ২৫ থেকে ৩০টি জেলে নৌকা অবস্থান করছিল। জেলেরা খালে জাল পেতে নৌকায় ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় দস্যুদের ছোড়া গুলি এসে উত্তর রাজাপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী চাঁনমিয়া হাওলাদারের জেলেদের নৌকায় এসে লাগে। এতে ওই তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গোলাগুলি থেমে গেলে পার্শ্ববর্তী জেলেরা গুলিবিদ্ধ ওই তিন জেলেকে উদ্ধার করে রবিবার সকাল ১০টার দিকে একজনকে শরণখোলা হাসপাতালে ও অপর দু'জনকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পর থেকে শ্যালা এলাকার জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. সুলতান মাহমুদ জানান, তিনি বনদস্যুদের মধ্যে গোলাগুলি ও জেলে আহত হবার খবর শুনেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ মে ২০১৫/ এস আহমেদ