প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যেন আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে, সেজন্য সরকারের সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববাসীর পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনাদের এই ভূমিকা চিরকাল স্মরণ রাখবে। আপনারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শাক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন, বিশ্বে বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নত রাখবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী রর্বাট ওয়াটকিনস। বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে শান্তিরক্ষীদের এ অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। জাতিসংঘ মিশনে আমাদের এই কার্যকর অংশ্রগ্রহণ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করেছে এবং একইসঙ্গে তা বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, সার্ক, ওআইসি এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের দৃপ্ত অংশগ্রহণ এদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি মর্যাদা সম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা গর্বভরে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সারাবিশ্বে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মধ্যে অন্যতম হওয়ার মর্যাদা লাভ করেছে। আমরা নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে, যে কোনো দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সদা প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ মে ১৫/ সালাহ উদ্দীন