অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাজেট নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। কিন্তু আমাদের হাত-পা বাধা। এই সমাজে অনেকেই আছেন ‘গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে টাকা পাচার করেন। টিভি দখল করে বসে আছেন। এদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই সমস্যা হয়। তাই সরকারকে ধনী, দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি সব শ্রেণির সঙ্গে আপস করতে হয়। বাজেট একটি আপসের দলিল। তবে দুর্নীতি ও চুরি ঠেকাতে পারলে বাজেটের ‘খোলনচে’ পাল্টে দেওয়া সম্ভব বলে তিনি দাবি করেন।
জাতীয় সংসদের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে রবিবার সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) আয়োজিত বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনা সভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সুপ্র চেয়ারপার্সন আহমেদ স্বপন মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তৃতা করেন মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজী, জাসদের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ।
বাজেট আমলারা কেন দেয় বিভিন্ন মহলের এমন সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা যারা সংসদে আছি, ফাইলপত্র দেখাশুনা করা তাদের কাজ নয়। আমরা দেখবো সংসদে জনগণের জন্য কি করা যায়। তাদের স্বার্থে বরাদ্দ হলো কি না। বাজেট আমলারাই করবেন। আমরা দেখবো কোন ক্ষেত্রে কি বরাদ্দ আছে। আইনি বাধা না থাকলে আমলারাও ভালো কাজ করতে পারবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক এডিবি জাইকাসহ বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো কোন খয়রাতি সহায়তা দেয় না। তাদের সুদযুক্ত ঋণ পাই পাই করে পরিশোধ করতে হয়। আবার সেই ঋণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্তও আরোপ করে। বছরের পর বছর আমরা এই ঋণের সুদ দিয়ে আসছি।
সুপ্র প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই বলে উল্লেখ করে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো সুপারিশ করে। একইসঙ্গে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ পুনঃবিবেচনার দাবি করা হয়। এছাড়া মোবাইল ব্যবহারের ওপর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ জুন, ২০১৫/ রশিদা