একাত্তরের বীরাঙ্গনা ও প্রথিতযশা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনে তাকে ফোন করে ব্লগার নিলয় নীলের পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টা ৭ মিনিটে তার ছেলে কারু তিতাসের মোবাইল ফোনে অপরিচিত এক ব্যক্তি এ হুমকি দেয়। আগামী তিন দিনের মধ্যে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে হত্যার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে হুমকিদাতা।
বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী জানান, বিকালে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে তার মোবাইলে কল আসে। ব্যস্ত থাকায় কলটি কেটে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর একই নম্বর থেকে কারু তিতাসের মোবাইলে কল দেয় এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। একপর্যায়ে প্রিয়ভাষিণী এবং তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির খবর শুনে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজমসহ পুলিশ সদস্যরা তার বাসায় যান।
ইউএনবিকে একাত্তরের বীরাঙ্গনা এ নারী আরো জানান, ব্লগার হত্যার বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার। মুক্ত মানসিকতার চর্চার জন্যই স্বাধীন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। অথচ দেশে এখন মতপ্রকাশ করায় মৌলবাদীদের শিকার হচ্ছেন ব্লগাররা। গণজাগরণ মঞ্চসহ সব জায়গা থেকেই তিনি এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার কথা বলে আসছেন। এ জন্যই তিনি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীও শুরু থেকেই গণজাগরণ আন্দোলনে সক্রিয় আছেন। যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রয়েছে একাত্তরের এই বীরাঙ্গনার। ধর্মীয় গোড়ামির বিরুদ্ধেও অবস্থান রয়েছে তার। এর আগে গত শুক্রবার যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে ঢাকার গোড়ানে নিজের বাসায় হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
বিডি-প্রতিদিন/৯ আগস্ট ২০১৫/শরীফ