নারী ও পুরুষের লিঙ্গভিত্তিক সমতা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। আর বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ৪ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৪তম। গত বছর বাংলাদেশ ছিল ৬৮ নম্বরে। ১ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ০.৭০৪ পয়েন্ট। ১০৮ নম্বরে থাকা ভারতের পয়েন্ট ০.৬৬৪। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক এ সূচকে বাংলাদেশের পরে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পয়েন্ট ০.৫৫৯। তালিকার সর্বনিম্নে থাকা ইয়েমেনের স্কোর ০.৪৮৪।
জেনেভাভিত্তিক বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বুধবার ‘বিশ্ব লিঙ্গ বৈষম্য ২০১৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ক্ষমতায়নে নারী-পুরুষের সমঅধিকার-এই চার মাপকাঠির ভিত্তিতে প্রতিবছর এ সূচক প্রকাশ করা হয়।
তালিকার টানা সপ্তমবারের মতো শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। মোট ০.৮৮১ পয়েন্ট পেয়েছে এ দেশটি। ০.৮৫ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। ০.৭৫৮ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার ১৮তম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। আর আমেরিকার অবস্থান ২৮ নম্বরে। এ দেশটির স্কোরের পরিমাণ ০.৭৪।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০ নম্বরে। এ বিভাগে বাংলাদেশের স্কোর হচ্ছে ০.৪৬২। শিক্ষায় অংশগ্রহণের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯ নম্বরে। এ বিভাগে বাংলাদেশের স্কোরের পরিমাণ ০.৯৪৮। এর মধ্যে সাক্ষরতার হারেও বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯ নম্বরে। তবে প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নারী ও পুরুষের শিক্ষার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১ নম্বরে রয়েছে। স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নারী ও পুরুষের অধিকারের দিক থেকে ০.৯৭১ পয়েন্ট পেয়ে ৯৫ নম্বর স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে নারী ও পুরুষ জন্মের হারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের এক নম্বরে।
আর নারী ও পুরুষের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ৮ম স্থানে রয়েছে। সংসদের নারীর উপস্থিতির দিক থেকে বাংলাদেশ রয়েছে বিশ্বের ৮ নম্বর স্থানে। মন্ত্রিপরিষদে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৬ নম্বরে। গত ৫০ বছরে দেশের ক্ষমতার শীর্ষস্থানে নারীর অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের ১ নম্বর স্থানে রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব