মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এখন পর্যন্ত প্রাণভিক্ষার আবেদন করেননি। এমনকী রাষ্ট্রপতির কাছে তারা আদৌ প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কিনা তাও স্পষ্ট করে জানায়নি।
কারা সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না কিনা তা জানতে সাকা ও মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেন সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির ও জেলার নেছার আলম। এ সময় তারা সাকা-মুজাহিদের সঙ্গে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মতো প্রাণভিক্ষার বিষয়ে কথা বলেন। কিন্তু প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা- তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি দু’জনই।
সূত্র আরও জানায়, প্রাণভিক্ষার বিষয়টি স্পষ্ট না করলেও পরিবার এবং তাদের আইনজীবীর মাধ্যমেই জানাতে চান বলে আভাস দিয়েছেন তারা।
কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির সামনে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগই বাকি আছে। তারা আবেদন না করলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে বলেও জানান তিনি।
তবে বিকেল পর্যন্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দুই আইনজীবীকে কারাগারের সামনে দেখা গেছে। সকালে তার সাত আইনজীবী দেখা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। তবে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মুজাহিদের পক্ষে তার আইনজীবীরা দেখা করার অনুমতি চান। তাদেরও দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল শুক্রবার সকালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সরকার আইনের বাইরে কিছু করবে না। আইনে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা আছে, সরকার তার সবই করবে।’
বিডি-প্রতিদিন/২০ নভেম্বর, ২০০৫/মাহবুব