স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশে জ্বালাও পোড়া করে মানুষকে পুড়িয়ে মেরে এখন শান্ত হয়েছেন। তিনি বুঝেছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া কোন উপায় নেই। আগামী ২০১৯ সালের একদিন আগেও জাতীয় নির্বাচন হবে না। আর সেই নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে হবে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনকেও ওই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় দিনাজপুরের অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হতো তাহলে দেশে মার্শাল ল' আসতো। কিন্তু মার্শাল ল' সামরিক শাসন দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছিল বলেই আজ আমরা বলতে পাচ্ছি দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে জঙ্গির উত্থান বন্ধ হয়েছে। এরপরেও বাংলাদেশকে মাঝে মাঝে অস্থিতিশীল করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে। কিন্তু তারা সফল হতে পারছে না। পারবেও না। জনগণ চাই দেশের উন্নয়ন। আর দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে এ শেখ হাসিনার সরকার এদেশে বার বার দরকার।
তিনি বলেন, ৭ বছর আগেও বিদ্যুৎ অভাবে বাংলাদেশ অন্ধকারে ছিল, লোড শেডিং ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে আর লোড শেডিং নেই। বিদ্যুৎ সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে দেশ।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নতুন নতুন হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে এবং উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। জনবহুল এদেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে কঠিন কাজ। তাই এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে সমাজের শিল্পপতি ও ধনী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী তার ভাষণে শিশু হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও সার্জারি বিভাগের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দেওয়ার আশ্বাস দেন।
দিনাজপুরের অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন নুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর সদর আসনের এমপি ইকবালুর রহিম, বিএমএ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।
অরবিন্দু শিশু হাসপাতালের সভাপতি আবুল হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে হাসপাতালের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অরবিন্দু শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক ছুটু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমএর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকবাল আসলান, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কামরুল আহসান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব