চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে সুবিশাল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে ইছাখালীর পীরের চর, সাধুর চর, শিল্প চর এবং চর মোশারফে পরিকল্পিত অঞ্চলের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধায়ন করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
আজ রবিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন আরও ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজের উদ্বোধন করা হবে বলে বেজা সূত্রে জানা গেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বেজা সূত্রে আরও জানিয়েছে, চট্টগ্রাম শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার এবং মিরসরাই সদর উপজেলা হতে ১৫ কিলোমিটার দূরে ইছাখালী চরের ৭ হাজার ৭১৬ একর জমিতে মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ আজ রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে। এখানে ১ হাজার ২২২টি কারখানার শিল্পপ্লট তৈরি করা হবে।
এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৭১৬ একর জমি। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে সমুদ্র তীরে নতুন করে চর জেগে ওঠা ১৫ হাজার একর জমি। প্রথম অবস্থায় চারটি মৌজায় ৬৩৯০ দশমিক ৯৬৭০ একর জায়গারও উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে পীরেরচর এলাকায় ১৩৯০ দশমিক ৪৩১৬ একর, সাধুরচর এলাকায় ১৬৬৪ দশমিক ১০৩৯ একর, শিল্পচর এলাকায় ১৮৫২ দশমিক ৫৩৮৫ একর এবং চর মোশাররফ এলাকায় ১৫০৪ দশমিক ২৯৩০ একর জমি রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক, ডিএফআইডি ও সরকারি অর্থায়নে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আতাউর রহমান খান। এ কাজের জন্য ৭ মাস সময় বেধে দিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে মঘাদিয়া থেকে ইছাখালী সিডিএসপি বাঁধ পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২ কোটি টাকা। এই সড়ক নির্মাণের কাজ করছে নিয়াজ ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হলে সেখানে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তবে ১৫ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন বেজার কর্মকর্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ