জাতীয় সংসদে পেট্রোলিয়াম বিল-২০১৬ পাস হয়েছে। এতে বিদ্যমান আইনের তুলনায় শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে তোলেন প্রতিমন্ত্রী। পরে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। গত বছরের জুলাই মাসে বিলটি মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
১৯৩৪ সালের পেট্রোলিয়াম আইনটি সামরিক শাসনামলে ১৯৮৬ সালে সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সেই অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি পাস হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহণ এ আইনের আওতায় বিধিমালা দিয়ে পরিচালিত হবে।
বিদ্যমান আইনে পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহণে কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার সংবাদ না দিলে ৩ মাস পর্যন্ত জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। নতুন আইনে তা বাড়িয়ে ৬ মাস পর্যন্ত জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।
একই অপরাধ পুনরায় করলে শাস্তির মাত্রা দ্বিগুণ হবে বলে পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে।
পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহণ, বিতরণ, শোধনে কেউ যদি আইনের লঙ্ঘন করে তাহলে শাস্তির বিধান রাখা রয়েছে। বিলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহণের স্থানে অনুসন্ধান এবং জব্দ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পেট্রোলিয়াম দুই শ্রেণিভুক্ত- প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি। প্রস্তাবিত আইনে আরেকটি শ্রেণি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ