‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ অভিযানে নিহত আলোচিত গুলশান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী পাঁচ জঙ্গির লাশ নিতে আসছেন না তাদের স্বজনরা। শনিবার বিকাল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) লাশগুলো পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
অভিযানে নিহত যে পাঁচ জনের লাশ সিএমএইচ মর্গে রয়েছে তারা হলেন- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, স্কলাসটিকার সাবেক ছাত্র মীর সামিহ মোবাশ্বের, মালয়েশিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিবরাস ইসলাম, বগুড়ার বিগিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র খায়রুল ইসলাম পায়েল এবং বগুড়ার সরকারি আযিযুল হক কলেজের ছাত্র শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। এ ছাড়া হলি আর্টিসানের শেফ সাইফুল ইসলাম চৌকিদারের লাশও সেখানে রয়েছে। তার বাড়ি শরিয়তপুরে।
গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন জানান, সিএমএইচ-এর মর্গে রাখা পাঁচ জঙ্গির লাশের কোন স্বজনই এখনও পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কেউ যোগাযোগ না করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, জঙ্গি হামলায় নিহত তিন বাংলাদেশির লাশ রোববার সকালে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন ফারাজ হোসেন, ইশরাত আখন্দ ও অবিন্তা কবীর। তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে। এছাড়া ১৭ বিদেশির লাশও একইদিনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাদের পরিবার ও নিজ নিজ দেশের দূতাবাস কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ইতালির ৯ জন, জাপানের ৭ জন ও ভারতের একজনের লাশ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৬ জুলাই ২০১৬/হিমেল-০৭