কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের কাছে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সন্ত্রাসী হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে দুই পুলিশসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আহত ৬ পুলিশকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এর আগে আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়। কিন্তু গুরুতর আহত হওয়ায় দুপুরে ৬ পুলিশকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ সকাল ১০ টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের প্রায় সোয়া ঘণ্টা আগে পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। শোলাকিয়া ঈদগাহ থেকে প্রায় চারশ গজ পশ্চিমে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে সকাল পৌনে ৯ টার দিকে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের বোমার শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন সন্ত্রাসী প্রথমে চাপাতি দিয়ে এক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাসীরা নিরাপদ স্থানে চলে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা অনবরত বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে আটজন পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়। আহতদেরকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জহিরুল নামে একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়। পরে একজন হামলাকারীও নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহে পাঠানো হলে সেখানে আনসারুল নামে অপর একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়। আর ঘটনাস্থলের পাশে নিজ ঘরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন গৌরাঙ্গ ভৌমিকের স্ত্রী ঝর্না রাণী ভৌমিক।
সন্ত্রাসী হামলার কারণে ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ ঈদগাহে পৌঁছতে পারেননি। তিনি সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জে আসেন। তিনি ঈদগাহে পৌছাতে না পারায় ঈদ জামাতে ইমামতি করেন শহরের বড় বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. সোয়াইব।