বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক জামায়াত-বিএনপির লোকজন। এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নজরদারি বাড়াতে হবে। যেন শিক্ষার আড়ালে জঙ্গি প্রশিক্ষণ বা জঙ্গিবাদের উৎসাহ দিতে না পারে।
আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।
ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, জহির উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী লিপ্টন, এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে রেজাউল কবির রকি, মামুন আল বশির জুম্মন, মেহেদী মুনসুর প্রমুখ।
মির্জা আজম বলেন, আগে অনেকের ধারণা ছিল মাদ্রাসা ছাত্ররা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষিত বা উচ্চবৃত্ত ঘরের সন্তানেরা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। মুলত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি না থাকার কারণেই জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নেই, বাংলাদেশে এমন কোন আইন নেই। যদি ছাত্র রাজনীতি থাকতো তাহলে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হতো না।
তিনি বলেন, শুধু শহরের নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, গ্রাম গঞ্জেও জামায়াত-শিবির পরিচালিত বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোর কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। এগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না হলে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এই সব প্রতিষ্ঠানে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের পুর্নবাসন করছে, তারা শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদের পথে নিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় ছাত্রলীগকে রাজপথে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। যেখানেই জঙ্গিদের আনাগোনার খবর পাওয়া যাবে-সেখানেই স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত বাংলাদেশের মাটিকে জঙ্গিবাদের ঘাটি হতে দেয়া হবে না।
বিডি প্রতিদিন/১৫ জুলাই ২০১৬/হিমেল-২০