জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আজ শনিবার (১৬ জুলাই) শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এ দিনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এবার দেশের ২ কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পেইনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন-এ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।
দুর্গম ১২ জেলার ৪৬ উপজেলায় যে শিশুরা বাদ পড়বে তাদের ক্যাম্পেইনের পর আরও চারদিন ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো্ হবে।
জাতীয় ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে এটি একটি গুজব জানিয়ে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশুরা কখনোই অসুস্থ হয় না। এ ভিটামিনটি ডেনমার্ক থেকে আনা হয়েছে। এটি স্বাস্থ্যসম্মত, ডব্লিউএইচও (বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা) অনুমোদিত। এটি নিয়ে কোন রকমের আশঙ্কা বা শঙ্কা নেই।’
ভিটামিন-এ খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধুমাত্র রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায় তা নয়, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন-এ ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল এবং হামের জটিলতা কমায় বলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ