গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার নর্থ সাউথের এক শিক্ষকসহ চারজনকে আট দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ ঢাকা মহানগর হাকিম তসরুজ্জামান এ আদেশ দেন। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
আসামিরা হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম গিয়াস উদ্দিন আহসান, তার ফ্ল্যাটের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমান এবং ওই অধ্যাপকের ভাগনে আলম চৌধুরী। এ তিন আসামিকে রাজধানীর ভাটার থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তথ্য না জেনে জঙ্গিদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে নুর’ল ইসলাম নামে এক বাড়িওয়ালাকে আটক করা হয়।
আদালতে আসামি অধ্যাপক এস এম গিয়াস উদ্দিন আহসান ও নুরুল ইসলামের রিমান্ড বাতিল চেয়ে তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে আইনজীবী আরফান উদ্দিন খান আদালতকে বলেন, মাননীয় আদালত গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর ঘটনাসহ আমরা সকল জঙ্গিবাদের নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের শাস্তির দাবি জানাই। আসলে ওই ঘটনার সঙ্গে অধ্যাপক এস এম গিয়াস উদ্দিন আহসান জড়িত নয়। তিনি ওই বাড়িতে থাকেনও না। এছাড়া ২০০৯ সালের পর থেকে ওই ফ্লাটের তদারকি করে তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমান এবং অধ্যাপকের ভাগনে আলম চৌধুরী। তাই রিমান্ড বাতিল করে তাকে জামিন দেওয়া হোক।
এসময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি আদালতে তুলে ধরেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে হাকিম প্রত্যেক আসামিকে আট দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৩ জনকে জিম্মি করে একদল অস্ত্রধারী। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে সেখান থেকে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হন পাঁচ হামলাকারী। এর আগে রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জঙ্গিদের ছোড়া বোমায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ জুলাই ২০১৬/শরীফ