গাজীপুরের টঙ্গী শিল্প নগরী বিসিক প্লট-নং বি-২/৩ সোনালী ব্যাংকের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ট্যাম্পাকো কারখানায় শনিবার সকালে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৩০ জন শ্রমিক ও পথচারী মারা যায়। ঘটনার পর নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে শত শত স্বজনরা কারখানা গেইটে এমনকি হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ ছবি, কেউ জাতীয় পরিচয় পত্র, আবার কেউ অফিস আইডি কার্ড নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
কথা হয় ওই কারখানার ম্যাকিং অপারেটর মুরাদের পিতা আবু তাহেরের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাতে অফিসে যায় মুরাদ। এরপর সকালে সে বাসায় ফেরেনি। এরপর খবর পেলাম কারখানায় আগুন লেগেছে পরে কারখানায় আমরা ছুটে আসি। এসে আমার ছেলে মুরাদের কোন খোঁজ পাইনি। এমনকি কোথায়ও তার লাশ পাইনি। আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি।
নিখোঁজ আনিসুর রহমানের বড় ভাই শাহজালাল বলেন, সকাল থেকেই ছোট ভাইয়ের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি। কোথাও পাইনি। আমার ভাইকে কোথায় পাই? আমার ভাইয়ের লাশ কোথায় আছে?
অপরদিকে প্রিন্টিং অপারেটর জহিরুল ইসলামের এক স্বজন আলউদ্দিন বলেন, ভাই আজ সকালে ফজর নামাজ শেষে কারখানায় যায়। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ নেই।
বিডি প্রতিদিন/ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ