বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল বন্ধ হয়ে গেলেও এর অস্তিত্ব এখনো রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থায়। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের জন্য অটোরিক্সার পেছনে এখনো রয়ে গেছে সিটিসেল নম্বর। একই অবস্থা ডিএমপি হেল্প লাইনের ক্ষেত্রেও। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও রয়ে গেছে সিটিসেল নম্বরগুলো।
রাজধানীতে চলাচলরত সব সিএনজি অটোরিকশার পেছনে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের নম্বর হিসেবে উল্লেখ আছে-০১১৯৯৮০৬১১১/২২২/৮৮৮। পাশাপাশি ডিএমপি হেল্প লাইনের সাইনবোর্ডেও রয়েছে একই নম্বর। কোনো দুর্ঘটনার পর মানুষ পুলিশে খবর জানাতে আগে অটোরিকশার পেছনে থাকা এই সিটিসেল নম্বর ব্যবহার করতো। বর্তমানে এসব নম্বরে যোগাযোগ করে সবাই ব্যর্থ হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত এসব নম্বর মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে কয়েকজন সিএনজি চালিত অটোচালকের সঙ্গে কথা বললে কেউ বলেন, ''নতুন নম্বর লেখার দায়িত্ব আমাদের না।'' কেউ বলেন, ''নতুন নম্বর লেখার সময় পাচ্ছি না।''
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সিটিসেলের পাশাপাশি গ্রামীণ ফোনের নম্বরও দেওয়া হয়েছে সব জায়গায়। এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিগগিরই এসব নম্বর মুছে ফেলা হবে। বিভ্রান্তি এড়াতে শুধু সিএনজি অটোরিকশার পেছনে লাগানো নম্বরই নয়, সব স্থান থেকে মুছে ফেলা হবে সিটিসেল নম্বর।
আদালতের আদেশ অমান্য করায় মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কার্যক্রম (স্পেক্ট্রাম বা তরঙ্গ) স্থগিত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিটিআরসিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ/২২