২০১৬ সালের বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে আওয়ামী লীগ। রবিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি বহুগুণে খারাপ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন,“বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশের তুলনায় প্রতি দিন গড়ে দ্বিগুন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আমরা বলবো বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা না বলে নিজের দেশের মান্বাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করুন।”
দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকার বিরোধীতা করে হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশে আগে ক্ষুদ্র ঋণের কোন প্রকল্প ছিলা না, এমনকি এদশের মানুষ ক্ষুদ্র ঋণের বিষয়টি জানতই না। ক্ষুদ্র ঋণ বলতে গেলে ভিক্ষাবৃত্তি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর থেকে এ দেশের দারিদ্র্যতা আরো বাড়িয়ে দেওয়ার এজন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।”
সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকার নিয়ে প্রশংসা করলেও আপনারা কেন বিরোধীতা করছেন জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, “এটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত, এটা সরকারের বক্তব্যও না আওয়ামী লীগেরও না।”
অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে হাছান বলেন,“অর্থমন্ত্রী অনেক সময় অনেক কথা বলেন। দেখবেন কয়েকদিন পর আবার এই কথা নিজেই পরিবর্তন করবেন।”
অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বহি:প্রকাশ দাবি করে হাছান বলেন,“আমাদের দলের নেতাদের মধ্যে যে গণতন্ত্র আছে এটা অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে তার বহি:প্রকাশ ঘটেছে। দলে থেকেও কউ দলের নিজের যে কোন মত প্রকাশ করতে পারে এটাই তার উদাহরণ। আসলে এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বহি:প্রকাশ।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার আমিনুল ইসলাম আমিন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৫ মার্চ, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৫