বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, প্রত্যেক দেশে নির্বাচন হয় পলিটিক্যাল গভর্নমেন্টের মাধ্যমে। আমাদের দেশে নির্বাচন চাই কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের মাধ্যমে, কারণ আমরা একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করি না। আমরা যদি একজন আরেকজনকে বিশ্বাস না করি জনগণ আমাদের বিশ্বাস করে ভোট দেবে কী করে?
জাতীয় সংসদের চতুর্দশ ও শীতকালীন অধিবেশনের রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, জনগণের জন্য যতই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোক না কেন, কোনো সময় আমরা একমত পোষণ করি না। এটা আমাদের একটি পলিটিক্যালি বিশেষত্ব। এটা আমাদের ছাড়তে হবে। একে অপরের সঙ্গে বসে মিলেমিশে কথা বলতে হবে। জনগণের জন্য দেশের জন্য যেটা ভালো সেটাই করতে হবে। বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, এখন অনেক আজে বাজে কথা বলা হচ্ছে। আমরা নাকি অনেক গৃহপালিত বিরোধীদল। তোমরা কী করেছো? তোমরা যখন বিরোধী দলে ছিলা তোমরাতো সংসদে যাওনি, জনগণের কথা বলনি। আমরা দেশের মানুষের কথা বলছি, সরকারের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করছি।
রওশন এরশাদ আরো বলেন, আগে দেখা গেছে যে দল যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিরোধীদল একটা না একটা কিছু সমস্যা সৃষ্টি করে এবং সরকারি দল তার পেছনে থাকে। এতে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। আর সরকারি দল বিরোধীদলকে দমাতে ব্যস্ত থাকে। এজন্য উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত হয়। আমরা মিলে মিশে থাকলে দেশ এগিয়ে যাবেই।
বিরোধী দলীয় নেতা এসময় ৮টি বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের ৮টি বেঞ্চ করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, তাহলে মামলার জন্য মানুষকে টাকা খরচ করে ঢাকায় আসতে হবে না। তিনি বলেন, আমি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি, প্রধান বিচারপতি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী বললে তিনি এটা করে দিতে পারবেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আপনি এটা করে দিন। সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ