সঞ্চয়ী হিসাবে আবগারি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাজেট মানুষের জন্য। মানুষের কোনো দুর্ভোগ হয়, মানুষের কোনো কষ্ট হয় সেটা অবশ্যই আমরাও চাই না। অর্থমন্ত্রীও চান না। সেটা আমি জানি। তাই সঞ্চয়ী হিসাবে আবগারি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করছি।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে এক লাখ টাকা জমা রাখলে দেড়শ টাকা কেটে রাখা হবে। আগে ১ লাখ টাকার বেশি রাখতে ৫০০ টাকা দিতে হত, এখন দেড়শ টাকা কাটা হবে।
আজ বুধবার প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আহরণ বিষয়ে সংসদে যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। সেটি আমি সযত্নে শুনেছি। এ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীকে তিনটি বিষয়ের প্রতি নজর দিতে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রথম বিষয়- ইতোমধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নতুন বাজেটের অপেক্ষা না করে চাল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ না করে ১০ শতাংশ করেছি। আবগারি শুল্ক তিন স্তরে সঞ্চয়ী হিসাবে যদি ২০ হাজার টাকার বেশি রাখে তাকে নির্দিষ্ট হারে আবগারি শুল্ক দিতে হতো।
‘আসলে অর্থমন্ত্রী বলার কারণে মানুষ উল্টো বুঝেছে। ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোনো আবগারির শুল্ক ছিল না। ২০ হাজার ১ টাকা হলেই আবগারি শুল্ক দিতে হতো। অর্থমন্ত্রী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ী হিসাবকে শুল্কমুক্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু এটাকে উল্টো অপপ্রচার হয়েছে যে, এক লাখ টাকা থাকলেই ৮শ টাকা কাটা হবে। আসলে তিনি ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত করে দিয়েছিলেন। কাজেই এ বিষয়টা পরিষ্কার করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ লাখ টাকার বেশি অর্থাৎ, ১ কোটি টাকা পর্যন্ত শুল্ক হার বানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি ১ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত তিনটি স্তর করে দিয়ে শুল্কহার যেন আর না বাড়ান। সেই ব্যবস্থা নেবেন। এটা তিনিই ঘোষণা দেবেন।
বিডি প্রতিদিন/২৮ জুন ২০১৭/এনায়েত করিম