‘খালেদা জিয়া জেলে থাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা দিনে ১০ লাখ করে বাড়ছে’ মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, 'আমার অবাক লাগে একজন শিক্ষিত লোক কীভাবে বলেন, তার নেত্রী খালেদা জিয়া যতদিন জেলে থাকবেন বিএনপির জনপ্রিয়তা তত বাড়বে। এমনকি প্রতিদিন আওয়ামী লীগের ১০ লাখ ভোট কমবে। তাই যদি হয় কোর্টে যাবেন না, জামিন চাইবেন না। খালেদা জিয়াকে জেলে রাখেন। জেল থেকে বের হলে তো আবার জনপ্রিয়তা আটকে যাবে।'
জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই মওদুদ আহমদ ও আমরা ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে এক সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলাম। আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিল রাজশাহী আর মওদুদকে ময়মনসিংহে। জেলখানায় ফ্লোরে ছিলাম। মওদুদও ছিলেন। এরপর ২০০২ সালে সিঙ্গাপুর থেকে আসার পর গ্রেফতার করে এরশাদ শিকদারের সাথে রাখা হয়েছিল। জেলখানায় আমরা ফ্লোরিং করেছি। হাতকড়া পড়িয়ে কুষ্টিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। যেই ফেরিতে পাঠানো হয়েছিল সেই ফেরিতে মুজাহিদের পাতাকাবাহী গাড়ি ছিল, ধিক সেই বাংলাদেশ! এটা খালেদা জিয়া করেছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতি সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত। টাকা এসেছে এতিমের জন্য, টাকা চলে গেল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে। যে ট্রাস্ট্রের চিহ্নও নাই। এখন আদালত রায় দিয়েছে। সেটা নিয়ে সরকারের কী করার আছে?
দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক সূচকে এগিয়ে রয়েছে। আইটি খাতে ভবিষ্যতে আমরা ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবো। বাংলাদেশ আজ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ আজ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হতে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। এরমধ্যে আমরা জঙ্গিমুক্ত হয়েছি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না, জাতি কলঙ্কমুক্ত হতো না।
বিডি প্রতিদিন/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম