মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচির জন্য ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে বিদ্যমান তহবিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে এখাতে তহবিল ছিল সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা। আগামী অর্থ বছরে টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে এই টাকা ব্যয় হয়। সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২২তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, নুরুন্নবী চৌধুরী এবং কামরুল লায়লা জলি নেন বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ১২২ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৪ টাকা ব্যয় হয়েছে। এসময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৮৭ হাজার টাকা। এর আগের অর্থ বছরে (২০১৬-১৭) ব্যয় হয়েছিল ২৯৬ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৯ টাকা। একই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হয় ১ কোটি ৮৩ লাখ ৪১ হাজার ৪০৭ টাকা।
সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে জানানো হয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় এসে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা ও চিকিৎসা বিলের চেক সংগ্রহের কষ্ট ও আর্থিক ব্যয় লাঘব ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে চেকের পরিবর্তে অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাদের স্ব-স্ব এ্যাকাউন্টে পরিশোধের প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ‘‘ফ্রিডম ফাইটারস ডাটাবেইজ’’ নামে একটি সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যপস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার