সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনী কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইসির যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান। ভোটের তারিখ পেছানো নিয়ে কয়েকটি দল ও জোটের দাবির মধ্যে এ নির্দেশনা কমিশনের।
এদিকে ঘোষিত পুনঃতফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। তবে ভোট আরও পেছাতে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট দাবি জানিয়ে বুধবার কমিশনের সঙ্গে বসবে। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলে দিয়েছেন, আর ভোট পেছানোর সুযোগ নেই।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর। ভোট হবে ৩০ ডিসেম্বর।
ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ নিয়ে দলগুলোতে চাঙ্গা ভাব এসেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় কয়েকদিনের মধ্যে সরগরম হবে।
৩০০ আসনের জন্য ৬৪ জন জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার দায়িত্ব পালন করবেন রিটার্নিং অফিসার হিসেবে। সেই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রায় ৬০০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
দেশের সব উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা রয়েছেন ভোটের দায়িত্বে। এসব কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে নির্বাচনী সামগ্রী রয়েছে।
এ অবস্থায় সব রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও নির্বাচনী অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, “নির্বাচনী সামগ্রী মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচনী অফিসে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল রয়েছে। এখন থেকে সব ধরনের মালামাল পরিবহন ও কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে।”
সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। নির্বাচনপূর্ব নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন চারটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- নির্বাচনী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারিদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিন্ড প্রস্তুতকরণ।
পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে স্থানীয় সরকারগুলোর সহায়তা জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে বলা হয়েছে।
ভোটকে সামনে রেখে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ স্ব-স্ব এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ আদেশ জারি করবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ