২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ২১:০৯

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব সংসদে নাকচ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব সংসদে নাকচ

ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য সংসদে আনীত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে গেছে। ‘সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা হোক’- প্রস্তাবটি আনেন বগুড়া-৭ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু। প্রস্তাবটি সমর্থন করে সরকারি ও বিরোধী দলের ১০ জন সদস্য সংশোধনী প্রস্তাবও দেন। 

কিন্তু জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের সংবিধান ও চাকরির বিধিমালায় আছে চাকরিতে নুন্যতম ২৫ বছর চাকরি না করলে পূর্ণ পেনশন পাবেন না। সুতরাং কেউ যদি ৩৭ বছরে চাকরিতে যোগ দেন। ২৫ বছর পূর্ণ করতে হলে তাকে ৬২ অথবা ৬৩ বছর বয়সে অবসরে যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবসরে যাওয়ার সময় ৫৯ বছর । সুতরাং তাকে আরও তিন/চার বছর চাকরি করতে হবে। কিন্তু আইন অনুযায়ী সেই সুযোগ নেই। সে কারণে সরকার আপাতত চাকরিতে বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। তবে প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নিতে অস্বীকার করলে তা ভোটে দেওয়া হয় এবং তা নাকচ হয়ে যায়। 

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের বৈঠকে নাকচ হয়। এর আগে নিজ নিজ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দিয়ে আনা সংশোধনীর ওপর বক্তব্য দেন, রুস্তম আলী ফরাজী (পিরোজপুর-৩), শহিদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), ছলিম উদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬) মহিলা এমপি রওশনারা মান্নান, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১), মহিলা এমপি মোসাম্মৎ খালেদা খানম,  মোহাম্মদ এবাদুল করিম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মোহাম্মদ শহিদুজ্জামান (মেহেরপুর-২) ও মোজাফফর হোসেন (জামালপুর-৫)। 

জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির পরিস্থিতি এখন ভাল। এখন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়মিত পড়ালেখা হচ্ছে। তেমন জট হচ্ছে না। এজন্য একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষার পর ৬ থেকে ৭ বছর পান। এই সময় তারা বহু চাকরির পরীক্ষার অংশ নিতে পারে। তাছাড়াও আমাদের সংবিধান ও চাকরির বিধিমালায় আছে চাকরিতে নুন্যতম ২৫ বছর চাকরি না করলে পূর্ণ পেনশন পাবেন না। সুতরাং কেউ যদি ৩৭ বছরে চাকরিতে যোগ দেন। ২৫ বছর পূর্ণ করতে হলে তাকে ৬২ অথবা ৬৩ বছর বয়সে অবসরে যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবসরে যাওয়ার সময় ৫৯ বছর । সুতরাং তাকে আরও তিন/চার বছর চাকরি করতে হবে। কিন্তু আইন অনুযায়ী সেই সুযোগ নেই। এর ফলে পূর্ণ পেনশন তিনি পাবেন না।  পেনশন পাওয়ার সময় নানা ধরনের জটিলতা দেখে দিবে তাছাড়া প্রতিবছর কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয় বহু শিক্ষার্থী বের হয় তাদেরও চাকরি সুযোগ দেয়া দরকার। তাই অবসরের সময় যদি বাড়ানো হয় তাহলে নতুরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে। সে কারণে সরকার আপাতত চাকরিতে বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এরপর তিনি প্রস্তবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রস্তাবকারী প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিতে অস্বীকৃতি জানালে পরে ভোটে নাকচ হয়ে যায়। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর