দীর্ঘ ছুটি থাকায় দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে নাড়ির টানে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। আজ শুক্রবার স্টেশনে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের ঢল নামে। লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে কমলাপুর রেলস্টেশন। যাত্রীদের চাপে ট্রেনের নির্ধারিত সময়সূচিতে বিপর্যয় নামে। ঈদে যাত্রী সেবা শুরুর প্রথম দিনেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে রেলওয়ে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়ে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন। এ কারণে স্টেশনে অপেক্ষারত যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠে। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় ঘটে সবচেয়ে বেশি। প্রায় সাত ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে ট্রেনটি।
ট্রেনের এই শিডিউল বিপর্যয়ে দুর্ভোগে পড়ায় যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদ উপলক্ষে রেলওয়ের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, কমলাপুর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ১৪টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেলেও সুন্দরবন, ধুমকেতু ও রংপুর এক্সপ্রেসসহ চারটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়। এজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।
নূরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে পরিবহনের সক্ষমতার চেয়ে যাত্রী বেশি। অতিরিক্ত সক্ষমতা ব্যবহার করে যাত্রীদের সেবা দিচ্ছে রেলওয়ে। সার্বিকভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ঈদের পাঁচদিন যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, সফলতা ব্যর্থতা জনগণ বিচার করবে। তবে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেল ভালো সেবা দিচ্ছে। আগামী দিনে রেল ব্যবস্থাপনা আরো এগিয়ে যাবে।
কোরবানির ঈদের আগে আরও তিন-চারটি নতুন ট্রেন যোগ হবে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ৫০টি নতুন কোচ রেলে যোগ হবে। নতুন কোচ দিয়ে লালমনিরহাট ও রংপুর রুটে চালানো হবে।
এ সময় রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলম ও কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম