শিরোনাম
২৫ জুন, ২০১৯ ০০:৪৪

উড়ে এসে জুড়ে বসার সুযোগ জাপায় থাকবে না: জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

উড়ে এসে জুড়ে বসার সুযোগ জাপায় থাকবে না: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে তৃণমূলকে মূল্যায়ন করে নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে। মনোনয়ন ও পার্টির বিভিন্ন নেতৃত্বে অতীত ত্যাগ ও শ্রমের উপর বিবেচনা করে মূল্যায়ন করা হবে। উড়ে এসে জুড়ে বসার সুযোগ জাপায় থাকবে না। 

সোমবার দুপুরে রাজধানীর এজিবি কলোনী কমিউনিটি সেন্টারে জাপা আয়োজিত এক সাংগঠনিক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

চারদিনব্যাপী বিভাগীয় সাংগঠনিক সভার প্রথম দিনে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জিএম কাদের। 

পরে সভার সমাপনী বক্তব্যে জিএম কাদের বলেন, বিগত ২৯টি বছর অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে জাতীয় পার্টি টিকে রয়েছে। যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। আমি তার মত এত বড় মাপের নেতা নই। আমি জাপার খাদেম হিসেবে থাকতে চাই। 

তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করতে হবে। ভাড়া করা লোক দিয়ে সংগঠন হবে না। সংগঠনে কোন্দল সৃষ্টিকারীকে জাপায় রাখা হবে না। 

সভার শুরুতে পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, যারা ষড়যন্ত করে আওয়ামী লীগে গেছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। ২১ বছর পর এরশাদ সমর্থনে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ আমাদের মূল‌্যায়নের পরিবর্তে অপমান করছে। ভবিষ্যতে জাপার উপরে আঘাত করার চেষ্টা করলে আমরাও বসে থাকব না, এর উত্তর দিব।

তিনি আরও বলেন, আমরা কেন ২২টি আসন পেলাম? অ্যালায়েন্স করার পরও কেন আমাদের অধিকাংশ আসনে নির্বাচন করতে হলো। আগামীতে আর কারো সঙ্গে জোট নয়। এককভাবে নির্বাচন করব।

রাঙ্গা বলেন, আজ জাপার এই বিভাগীয় সভায় সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া জেলা ও অঙ্গসংগঠনের যেসব নেতারা আসেননি তাদেরকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে।

সভাস্থলের আগে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে বলে দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, রওশন আমাকে বলেছেন, জিএম কাদেরের প্রতি আমার শতভাগ সমর্থন আছে। অসুস্থতার কারণে তিনি সভায় আসতে পারেননি। যারা এরশাদ ও জি এম কাদেরের রাজনীতি করবেন না তাদের জাতীয় পার্টি করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন রাঙ্গা। 

সভায় পার্টির তৃণমূল নেতারা বিগত জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে সরকার জাপার প্রতি অবিচার করেছে বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া নির্বাচনের সময় পার্টি থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ করেন জেলা ও উপজেলা নেতারা। 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আযম খান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল আলম রুবেল, জেলা নেতা ইলিয়াস উদ্দিন, মাহবুব আলম বাচ্চু, আফতাব হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান প্রমুখ।

এদিকে সভার প্রারম্ভে অনুষ্ঠানের মূলগেটে প্রবেশ নিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সভাস্থলে প্রবেশ নিয়ে দু'টি গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কয়েকটি টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর