টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল চলাচল চলাচল শুরু হলেও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ওই রুট ব্যবহার করা সব ট্রেনে। এতে শনিবার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছাড়তে এক থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্ব হবে এসব ট্রেনের। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদের টিকিট কাটা ঘরমুখো মানুষ। কেউ কেউ এতটা সময় দাঁড়িয়ে কিংবা বসে কাটাতে না পেরে স্টেশনেই ঘুমিয়ে পড়ছেন। কেউবা আবার সন্তানদের খাওয়া-দাওয়া করাচ্ছেন। তবে চোখে মুখে তাদের ক্লান্তির ছাপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টেশনে কোথাও কোনো বসার জায়গা ফাঁকা নেই। ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের কেউ কেউ দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে নারী, পুরুষ, শিশু-সবাই প্লাটফর্মের মেঝেতে বসে পড়েছেন। ট্রেনের কোনো দেখা নেই দেখে কেউ কেউ প্লাটফর্মেই ঘুমাচ্ছেন। অনেকে ছোট শিশুদের প্লাটফর্মেই খাওয়া-দাওয়া করাচ্ছেন।
শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশনে রাখা ডিসপ্লেতে দেওয়া ট্রেনের সময়সীমা অনুযায়ী, রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ৮ ঘণ্টা ৩০ মিনিট দেরিতে আনুমানিক বেলা ২টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটের ট্রেনটি আনুমানিক দেড়টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা। চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি ছাড়বে বিকেল সাড়ে ৪টায়। রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়বে রাত ৯টায়। লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ১৫ ঘণ্টা বিলম্বে রাত সোয়া ১১টায় ঢাকা ছাড়বে।
এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলগামী কয়েকটি ট্রেন চলাচলেও ঘণ্টা-খানেকের শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। এদিকে রেল সচিব জানিয়েছেন, ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীরা চাইলে টিকিট ফেরত দিতে পারবেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব