অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে পাকুল্লা পর্যন্ত প্রায় অন্তত ১০টি পয়েন্টে ৪০ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই ৪০ কিলোমিটার সড়কে খুবই ধীরগতিতে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। যানজটের কারনৈ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুরপাল্লার যাত্রীদের। মহাসড়কের হাটুভাঙ্গা, মির্জাপুর, পাকুল্লা, নাটিয়াপাড়া, কদিমধল্লা, করটিয়া বাইপাস, নগরজলফৈই, রাবনা বাইপাস ও এলেঙ্গায় যানজট ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হচ্ছে।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু কতৃপক্ষ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানান, গতকাল ভোর ছয়টা থেকে আজ শনিবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ৩৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড বলেও জানান তিনি।
যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ। অতিরিক্ত যানবাহনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিরকুমড়ার মোড় পর্যন্ত গাড়ি টানতে না পারার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট ইফতেখার নাসির রোকন জানান, এলেঙ্গা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় জানান, গত ৮ তারিখ থেকে আজ ১০ তারিখ পর্যন্ত সেতুর টোল প্লাজা ১২ বার বন্ধ হয়েছে। সেতুর টোল আদায় এক মিনিট বন্ধ থাকায় ৪০/৫০টি গাড়ির র্দীঘ লাইন পড়ে যায়। গত দুই ৬ ঘণ্টা টোল আদায় বন্ধ ছিল। এছাড়াও সেতুর পশ্চিম অংশের সিরাজগঞ্জ জেলার নলকা ব্রিজ, হাটিকুমড়ুল আর কড্ডা মোড় এলাকায় টানতে না পারার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আজ শনিবার বিকেলের মধ্যে এ মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
যানজট নিরসনে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ৬৭০ জন পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, র্যাব আর ১৯০ জন আনসার সদস্য কাজ করছে। এ যানজটের আরো একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলো সড়কে নেমে আসাসহ যত্রতত্র নষ্ট হয়ে পড়া। পুলিশ তৎপরতায় দ্রুত গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়া হলেও যানজট এড়ানো যাচ্ছে না।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনও ও এসিল্যাল্ডসহ আমি নিজেও ২৪ ঘণ্টা রাস্তায় রয়েছি। গত বছরের তুলনায় এবার ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বেশি নেমেছে। যার কারণে আমরা চেষ্টা করছি ফিটনেসবিহীন ও রাস্তায় নষ্ট হওয়া গাড়িতুলো দ্রুত সরিয়ে নিয়ে রাস্তার গাড়ি গতি ঠিক রাখতে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নিবিঘে্ন বাড়ি ফিরতে পারে তার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব