অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তৃতীয় দিনেও অন্তত ৭/৮টি পয়েন্টে যানজট রয়েছে। প্রতিটা স্থানেই এক-দেড় ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে থাকতে হচ্ছে হাজার হাজার যাত্রীবাহী যানবাহন। এদিকে সিরাজগঞ্জের অংশে গাড়ি টানতে না পারায় সেতুর পূর্বপাড়ে টোল প্লাজায় দফায় দাফায় টোল আদায় বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কারণ সেতুর উপর যানবাহনের চাপ কমাতেই টোল আদায় বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে করে দিনে প্রায় দুই ঘণ্টা টোল আদায় বন্ধ রাখার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজট থেকেই যাচ্ছে। রাস্তায় যানজটের কারণে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে বৃদ্ধ শিশু ও মহিলা যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বেশি।
এদিকে, দীর্ঘ সময় যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। তারা রাস্তায় নেমে ঢাকামুখী লেন দিয়ে চলাচল করা যানবাহন আটকে দিচ্ছে। এমনিক রোগী বহন ছাড়া কোন অ্যাম্বুলেন্সও যেতে দিচ্ছে না।
হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট ইফতেখার নাসির রোকন জানান, সিরাজগঞ্জ অংশে গাড়ি টানতে না পারার কারণে আজ সকালেও বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় দুই দফা বন্ধ ছিল। আর এ কারণে দীর্ঘ যানজট হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানান, টোল আদায় বন্ধ করা হয়নি। সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন আটকে থাকলে টোল আদায় করা এমনিতেই সম্ভব হয় না।
অপরদিকে মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করায় তা যত্রতত্র বিকল হয়ে যাবার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব