শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম-পরিচয় সংগ্রহ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার তথ্য সংগ্রহপূর্বক ডাটাবেইজ তৈরি করে বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকার বাইরে যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকেন, তা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এটি সম্পন্ন হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ সম্ভব হবে। বর্তমানে মোট ৫ হাজার ৭৯৫ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম-ঠিকানা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে।
এরমধ্যে শহীদ বেসামরিক গেজেটভুক্ত ২ হাজার ৯২২ জন, স্বশস্ত্র বাহিনী শহীদ ১ হাজার ৬২৮ জন, শহীদ বিজিবি ৮৩২ জন এবং শহীদ পুলিশ ৪১৩ জন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারা দেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের চিহ্নিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে আজ টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা এমপি রত্না আহমেদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসময় আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নিমার্ণ (২য় পর্যায়)সহ ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধকরণসহ নয়টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় একটি ঘৃণাস্তম্ভ ও টর্চারসেলের রেপ্লিকা নির্মাণ প্রকল্পসহ সাতটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার