প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ সৃষ্ট সর্বশেষ দুর্যোগ পরিস্থিতি সর্বক্ষণ মনিটরিং করছেন। তিনি আগেই সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লাখ লোককে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছেন।
উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং মঙ্গলবার থেকে এসব আশ্রয় কেন্দ্র এবং সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে স্থানীয়দের যেতে মাইকিং করে আহ্বান জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশ উপকূলের নিকটবর্তী হওয়ায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর ‘মহাবিপদ সংকেত’ দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরকে আগের মতই ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্র থেকে ৩৯০ ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আজ সকালে আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তখন এর বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার বা তার বেশি। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আম্ফানের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১৪০ থেকে ১৬০ মিটার বেগে ঝড়ো বাতাসসহ অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা নৌযানগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা