বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সর্বদা পরিবেশবান্ধব উন্নয়নকে অগ্রগতি দেয়। নাবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্লান অনুসারে ২০৪১ সালের মধ্যে উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৭ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে আসবে। নেট মিটারিং গাইডলাইন সোলার রুফটপ ব্যবহার করতে গ্রাহকদের উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশে সোলার হোম সিস্টেম ৫৮ লাখ। অফ-গ্রীড এলাকা আলোকিত করতে সোলার হোম সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আজ অনলাইনে যুক্তরাজ্যের প্যাসিফিক ও পরিবেশ মন্ত্রী লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ-এর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি ব্যবহারের প্রযুক্তি ও কৌশল, জ্বালানি প্রযুক্তি, পদ্ধতি, সেবা ও নীতি নিয়ে গবেষণা এবং জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাব। এসময় তিনি যুক্তরাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিসমূহকে ক্লীন এনার্জী বিস্তারে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্যের প্যাসিফিক ও পরিবেশমন্ত্রী লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ বলেন, ক্লীন এনার্জী বিস্তারে একসাথে কাজ করা যেতে পারে। অফসোর উইন্ডসহ নবায়ণযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা খোঁজে বের করতে কর্মকর্তারা আলোচনা অব্যাহত রাখবে। এখাতে অর্থায়নেও যুক্তরাজ্য আগ্রহী।
ভার্চুয়াল এই দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিক্সন ও ডিএফআইডি বাংলাদেশের প্রধান যুডিথ হারবার্টসন সংযুক্ত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত