‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত’ এবং নারী নির্যাতন মামলার আসামিকে ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়ন না দিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমের মদদে ২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজগঞ্জ ইউনিয়নে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান চেয়াম্যান গত ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে রাজনগর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক বাবু পুলক ভুইয়ার বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলক। যার মামলা নং: জিআর-২৮৯/২১ ইং এবং তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাও রয়েছে, যার মামলা নং- জি.আর-২৮৮/২১ ইং। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত' এবং নারী নির্যাতন মামলার আসামিকে ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়ন না দিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছেন পুলক।
দলীয় সভানেত্রীর কাছে পুলক লিখেন, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম একজন সাম্প্রদায়িক মানুষ। তার অত্যাচার নির্যাতনের কারণে ৬নং রাজগঞ্জ ইউনিয়নের সংখ্যালঘু পরিবার/ব্যক্তিবর্গ নিরাপদ নয় এবং প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবনযাবন করতে হবে যা বিগত পাঁচ বছরে এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিভিন্ন হামলা, মামলা, অনিয়ম, অকল্পনীয় দুর্নীতি ও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে এলাকা ছাড়া হতে হয়েছে। এ অবস্থায়
যদি উক্ত সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিকে পুনরায় নৌকামার্কায় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। একই সঙ্গে আমরাও নিরাপদ নই। অভিযোগপত্রের সঙ্গে মামলার কাগজপত্র ও ফটোচিত্র যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে নানা অনিয়মের তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা