ইতালির রোমে চলমান আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কোভিড-১৯ উত্তরণে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত, জলবায়ু সহনশীল এবং টেকসই উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের দিকে মনোনিবেশ করেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা ব্যতীত অর্থনীতির এ পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ হতে পুনরুদ্ধারের কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়েছে। নিম্ন-কার্বন ব্যবহার পদ্ধতির ওপর জোর দিয়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, ‘ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন’ এবং ইতালির সংসদের যৌথ উদ্যোগে আয়োাজিত দু’দিন ব্যাপী ‘প্রি-কপ২৬ পার্লামেন্টারি মিটিং’ এ গতকাল ‘গ্রীন এপ্রোচেস টু কোভিড-১৯ রিকভারি' শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ হাউজ অফ লর্ডসের স্পিকার জন ফ্রান্সিস ম্যাকফেল।
সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ইতালিয়ান সিনেটের প্রেসিডেন্ট মারিয়া এলিসাবেতা কেসিলাতির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ইতালিয়ান চেম্বার অফ ডেপুটিজ-এর প্রেসিডেন্ট রবার্তো ফিকো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক মারিয়া নেইরা, ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলাইন্স এর অজয় মাথুর, ইউনাইটেড ন্যাশন এনভারমেন্ট প্রোগ্রাম অফিস ফর ইউরোপ এর পরিচালক ব্রুনো পজি। সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দীপংকর তালুকদার এমপি ও জাফর আলম এমপিসহ বিভিন্ন দেশের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত বিনিয়োগ ও পদক্ষেপ চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করে পরিবেশের অবনতি এবং জলবায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে। এজন্য কোভিড -১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকায় ইতিমধ্যে প্রায় ৬.২ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যা ঐসকল এলাকার মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করছে। সরকার মিনি গ্রিড সৌর সেচ এবং রুফটপ সোলার সিস্টেম ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত