নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও জেলায়ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এজন্য দুটি আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-নওগাঁ আইন, ২০২২’ এবং ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-নওগাঁ আইনের খসড়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা অনেকটা এ জাতীয় অন্যান্য আইনের মতো। আগেও বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, সেই অনুযায়ী এটা হচ্ছে।’
‘প্রধানমন্ত্রী নওগাঁ জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ আইনটি আনা হয়। এখানে ৫৬টি ধারা হয়েছে। অন্যান্য আইনের মতোই। এখানে রাষ্ট্রপতি আচার্য হবেন, উনি একজন স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের মেয়াদে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। দুজন থাকবেন উপ-উপাচার্য, একজন থাকবেন ট্রেজারার। উনারা প্রকৃতপক্ষে দেখাশোনা করবেন।’
‘এ ছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানে একটি তহবিল থাকবে, রেজিস্ট্রার অফিস থাকবে। খসড়া আইনে আরও বলা হয়েছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও শিক্ষাক্রম পরিচালনার জন্য বিধি-প্রবিধি করে নিতে পারবেন। বিধি ও প্রবিধিতে সবকিছু ডিফাইন করা হবে।’
ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই এলাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেটি করা হবে। এ আইনটিও সেইম, একই জিনিস।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন এই দুটি নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫২ হবে। দেশে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৮টি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ