লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল অলি আহমদ বলেছেন, বর্তমান সরকার মানুষের পেটে লাথি দিয়েছে। টেলিভিশনে মিথ্যা কথা বলা ছাড়া সরকারি দলের কেউ সত্যি কথা বলে না। বিপদে না পড়লে তারা সত্যি বলে না। এই সরকারকে দূর করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এলডিপির ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের পরিচালনায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাগপার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধানসহ এলডিপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অলি আহমদ বলেন, আমার পাশে জামায়াত বসে আছে। এখন যদি বিএনপি পাশে বসে, তাহলে ওরা (আওয়ামী লীগ) জান বাঁচানোর রাস্তাও খুঁজে পাবে না। সে সময়ও আসবে। এসময় অলি আহমদের পাশে বসেছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল হালিম ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
অলি আহমদ বলেন, শুনছি আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারি দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগে জান বাঁচানোর প্রস্তুতি নেন। নির্বাচন নয়, জান বাঁচানোর প্রস্তুতি নেন। পৃথিবীতে যত স্বৈরাচার ছিল তাদের করুণ পরিণতি হয়েছে, এদেরও হবে।
তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের বোঝার শক্তি না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমরা অত্যাচারিত হবো। প্রথমে রাজনীতিটা সঠিক পথে আনতে হবে। সঠিক পথে আনতে হলে বর্তমান সরকার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, সেগুলো সঠিক পথে আনতে হবে। যেসব অফিসার এ সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করেছে, তাদের তালিকা করছি। তাদের আগে জেলে পাঠাতে হবে। যারা পেনশনে গেছেন, তাদের পেনশন বাজেয়াপ্ত করতে হবে। কারণ তারা জাতীয় শত্রু।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশে রাজনীতিবিদদের কোনো মনুষ্যত্ব নেই। রাজনীতিবিদেরা নিজেরাই নিজের ধর্মে বিশ্বাস করে না। মানুষের প্রতি তাদের যে দায়িত্ববোধ সেটি তারা পালন করছেন না। মিথ্যা কথা বলা তাদের নিত্যদিনের ঘটনা। তিনি বলেন, দেশ আক্ষরিক অর্থে স্বাধীন। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বাধীনতা নেই। আমরা পাকিস্তান আমলের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে খারাপ ও সংকটময় মুহূর্তে আছি আমরা।
অলি আহমদ বলেন, চীন ও ভারত থেকে যে লোন নেওয়া হয়েছে- তা পরিশোধ করা দেশের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ বেশি সুদে এ ঋণ নিয়েছে সরকার। রাজনীতি সঠিক পথে নেই বিধায় অর্থনীতিও সঠিকভাবে পথে নেই। দেশে এখন কেয়ারটেকার সরকার দিলেও কোনো রাজনৈতিক দল সঠিকভাবে জিতে আসতে পারবে না। কারণ জায়গা মতো মাস্তানরা বসে আছে। আর চোরের বাক্স হলো ইভিএম।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক