বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগ পালাবার দল নয়, বিএনপির শব্দবোমার হুমকিতে শুধু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ছাড়া সরকার পতন সম্ভব নয়।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারে একটি তারকামানের হেটেলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
নানক বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলা পরিষদের নির্বাচন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলেও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী রয়েছে। তাই দলীয় প্রার্থীকে আওয়ামী লীগের কোনও নেতাকর্মী বিরুদ্ধে বা ভোট না দিলে খবর আছে। এটি আমার কথা নয়, এটি জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কথা।
এর আগে দুপুরে কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দানে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ বিরোধী ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ। গণতান্ত্রিক পন্থায় দেশ পরিচালনা কিভাবে করতে হয় শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এ দেশে বিএনপির রাজনীতি মানে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদের উত্থান। বিএনপি চেয়েছিল ৭১ এর বিজয়ী কেউ এ দেশ পরিচালনায় না আসুক। কিন্তু জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৭১ এর বিজয়ী শক্তি ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। আর হলি আর্টিজানের মতো জঙ্গিদের স্বমূলে নির্মূল করে শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিয়েছে এ দেশে জঙ্গিবাদে মদদ দেয়া কোন গোষ্ঠীর স্থান নেয়।
দেশে আজ উন্নয়নের জোয়ার বইছে জানিয়ে নানক বলেন, শুধু কক্সবাজারকে নিয়ে ভাবুন। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মাতরবাড়িতে মহাযজ্ঞ, দীর্ঘ মেরিনড্রাইভ, আঞ্চলিক বিকেএসপিসহ প্রায় অর্ধ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নযজ্ঞ চলছে শুধু কক্সবাজারেই।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে নানক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব পাকিস্তানপ্রীতি ভুলতে পারেন না। কারণ পাকিস্তানপ্রিয় একটি দল থেকে তার সৃষ্টি। তিনি পাকিস্তানপ্রিয় একটি দল খুঁজে পেয়েছিলেন। সেই দলটির নাম হলো বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি)। এই বিএনপির স্রষ্টা ও পাকিস্তানের পাহারাদার ছিলেন খুনি জিয়াউর রহমান। তিনিও নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন এখন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যে সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগই যথেষ্ঠ। আর কোনও কাউকে লাগবে না। কত মানুষ জমায়েত হয় দেখার আহ্বান জানান তিনি। তাছাড়া ক্ষমতায় আসার দিন তারিখ দিয়ে লাভ নেয়। কারণ আমরা আপনাদের চিনি। ১০ ডিসেম্বর ক্ষমতায় আসার ঘোষণা কেন দিয়েছেন তাও জানি। কারণ সেটি বিজয়ের মাস। আপনারা তো এদেশের মানুষের বিজয় দেখতে চান না।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মোস্তাক আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, যুগ্ন সম্পাদক মাহবুবুল আলম ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদিসহ অন্যান্যরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ