জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘যেকোন বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ধারণা যুক্তিসঙ্গতভাবে উপস্থাপনের অনন্য মাধ্যম বিতর্ক। বির্তকের সাথে গণতন্ত্র সুসংহতকরণের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। জাতীয় সংসদেও আইন প্রণয়নসহ সকল বিষয়ে বিতর্ক হয়ে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য স্বপ্ন শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে বির্তকের মাধ্যমে চিন্তাচেতনাকে শানিত করে সৃজনশীল মানবিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ দেশ ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিতার্কিকদের ভূমিকা রাখতে হবে।’
শনিবার ‘ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২২’-এর সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বিতর্ক মানুষের জীবনের একটি অংশ। বিতর্ক প্রক্রিয়ায় যুক্তিসঙ্গত চিন্তাকে প্রসারিত করার পাশাপাশি জ্ঞানের ক্ষেত্র ও পরিধিকে বিস্তৃৃত করার মাধ্যমে দক্ষতা, পরমতসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি ও বাকপটু হতে সহায়তা করে। যুক্তিসঙ্গত চিন্তার প্রসার ঘটিয়ে জ্ঞানের পরিধি বিস্তত করতে বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাঠ্যপুস্তকের লেখাপড়ার বাইরে বিশাল জগত সম্পর্কে জানার জন্য সৃষ্টিশীল বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে তরুণ জন্ম দক্ষতা অর্জন করতে পারে।’
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, চাঁদপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে ‘শুদ্ধ চিন্তা মুক্ত থাকুক যুক্তির আশ্রয়ে’ শীর্ষক এ বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করে চাঁদপুর ডিবেট মুভমেন্ট (সিডিএম) ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ ডিবেট ফোরাম (সিসিডিএফ)। ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুপ্রেরণায় আয়োজিত এ উৎসবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, ডা. আব্দুন নূর তুষার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিতর্ক উৎসবে অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক অসিত বরণ দাস কে ‘সিডিএম আজীবন সম্মাননা পদক’ প্রদান করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক