সরকার পতনের এক দফা ও দলীয় ২ দফা’র দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এবি পার্টি।
পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় একাত্তর চত্বরে আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় সমাবেশ করে দলটি। এতে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। দলের সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু। আরও বক্তব্য দেন পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বিএম নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা বাতিল করবার মধ্য দিয়ে সরকার তার নির্বাচনী ম্যান্ডেট ও শপথ ভঙ্গ করেছে। ২০১১ সালে তাড়াহুড়া করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয় সরকার। সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত মতামতও এতে উপেক্ষা করে দেশকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয় বর্তমান সরকার। বর্তমানে চলমান অনিশ্চয়তার পুরো দায় এই সরকারের।’
প্রধান বক্তা মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে মউজ মাস্তি করতে গিয়ে এখন সেখানে তাদের নেতারা গণ-ধোলাই খাচ্ছে। ৬০০ টাকার কাঁচা মরিচের ঝাল, ১৮০ টাকা কেজির চিনি, তীব্র গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং, দেশের রিজার্ভ শূন্য করে দেওয়ার ক্ষোভে মানুষ আজ ফুঁসে উঠেছে। এই দেশের মালিক ও গৃহস্থ সাধারণ জনগণ আজ চরম বিক্ষুব্ধ। চোর-ডাকাতদের সুদিন শেষ, এবার জনগণের গণঅভ্যুত্থানের ‘একদিন’ আসন্ন।’
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছরে বাংলাদেশ আজ সত্যিকারের যুগ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের আগামীর বাস্তবতা উপলব্ধি করতে না পারলে বাংলাদেশ পথ হারাবে এবং বৃটিশ আমলের মতো পরাধীনতার জিঞ্জীরে আবদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। বাংলাদেশে গত ১০ টি সাধারণ নির্বাচনের ৩ অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেগুলো ছিল তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ৭ টি নির্বাচন ছিল কলংকিত ও প্রহসনের। সর্বদলীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানে সংযোজিত তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে বাতিল করে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা আবার ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সরকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, গাজীপুর জেলা আহবায়ক এম আমজাদ খান, গাজীপুর মহানগর আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, যুবপার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সহকারী সদস্য সচিব মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ,
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, আব্দুল হালিম নান্নু, গাজীপুর মহানগর যুবপার্টির আহ্বায়ক মাসুদ জমাদ্দার রানা, সদস্য সচিব সুলতানা রাজিয়া, নারী নেত্রী শীলা আক্তার, আমেনা বেগম, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম নুর সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বৃষ্টিবিঘ্নিত সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ