জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি যার সঙ্গে জোট করবে সেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে। কারণ আমাদের ভোট ব্যাংক আছে সব জায়গায়। আমাদের যতই কোনঠাসা করেন, যে নামেই অ্যাখ্যায়িত করেন, জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টিই। আমাদের ভোট কমেনি কোথাও একটাও। আমাদের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের এত মাতামাতি কেন? কোন দেশে কবে নির্বাচন হচ্ছে সেই খবর তো আমরা রাখতে যাই না। আমাদের জন্য তাদের এত মাতামাতি কেন? ৯০ সালের পরে আমরা যখন ক্ষমতা থেকে চলে গেছি তারপর গণতন্ত্রের নামে তারা সমস্ত অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি এ দেশে চালু করেছে। আমি সারা জীবন ডিফেন্সে খেলেছি, কখন স্ট্রাইকার হতে পারিনি। আমি যদি ৫ ঘণ্টার জন্য ক্ষমতা পেতাম, তাকে ফাঁসিতে ঝুলাতাম।
তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশটি স্বাধীন করলাম। আমাদের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের এত মাতামাতি কেন? এখানে এমন কি ঘটলো যে, সমস্ত বিদেশিদের নজর এখন বাংলাদেশে। মনে হচ্ছে ঘরের মধ্যে আমরা আলাদা একটি দেশ। আর কোনো দেশে নির্বাচন হয় না, একমাত্র বাংলাদেশ, যেখানে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তাতো হবে না। এখানে একটু আগে বললো গোটা দেশ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে হয়ে পড়েছে। এটা এই নয় যে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নিজেদের সম্পত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৯০ এর পর তারা পালা বদলের রাজনীতি করেছেন। আমরা যখন ক্ষমতা থেকে চলে গেছি, আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে গণতন্ত্রের নামে তারা সমস্ত অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি এ দেশে চালু করেছে। আজ তত্ত্বাবধায়কের কথা বলে বা সংবিধানের কথা বলেন, সাহাবুদ্দিনকে কোন সংবিধানিক বলে ক্ষমতায় এনেছিলেন? সংবিধান ব্যক্তি স্বার্থে পরিবর্তন করে তাকে প্রধান বিচারপতি বানাইলেন। সাহাবুদ্দিনের পাঁচবার ফাঁসি হওয়া উচিত ছিলো, সংবিধান লঙ্ঘন করার দায়ে। ভাগ্য ভালো আমি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আমি সারা জীবন ডিফেন্সে খেলেছি, কখন স্ট্রাইকার হতে পারিনি। আমি যদি ৫ ঘণ্টার জন্য ক্ষমতা পেতাম, তাকে ফাঁসিতে ঝুলাতাম। কারণ এই সংবিধানকে ব্যক্তিগত স্বার্থে লঙ্ঘন করেছে সাহাবুদ্দিন, ধ্বংস করেছে সাহাবুদ্দিন। আর দোষ হয় এরশাদের। এরশাদ সংবিধান কোথায় লঙ্ঘন করেছে?
কাজী ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, আমাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন যে, আমাদের আরেকটু বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে হলে, নির্বাচনে যাবো কি যাবো না সেই সিদ্ধান্ত নিতে হলে, নির্বাচনে গেলে কার সঙ্গে যাবো এই সিদ্ধান্ত নিতে হলে; দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা আছেন, কো-চেয়ারম্যানরা আছেন বা অন্যান্য শীর্ষ পর্যায়ে যারা আছেন সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। আমাদের এখনও সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আসেনি। আমরা রাজনীতির মাঠ দেখছি, দেশ কোন দিকে যাচ্ছে, দেশের জনগণ কি চায়? সব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। চেয়ারম্যান সেই দিকে ইঙ্গিত করেছেন। আমরা মনে করি, জাতীয় পার্টি যার সঙ্গে জোট করবে সেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে। কারণ আমাদের ভোট ব্যাংক আছে সব জায়গায়। আমাদের যতই কোনঠাসা করেন, যে নামেই অ্যাখ্যায়িত করেন, জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টিই। আমাদের ভোট একটাও কমেনি কোথাও।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন