তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সবকিছু এখন হাতের মুঠোয়। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যেমন সবকিছু হয়েছে সহজ, তেমনি সাইবার হামলার পরিসরও ক্রমাগত বাড়ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিনিয়ত এই সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য পূর্ণ হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রা। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভাণ্ডার সংরক্ষণ এবং সকল আইন প্রয়োগকারী, গোয়েন্দা ও তদন্ত সংস্থাকে সার্বক্ষণিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।
অন্যদিকে, এনটিএমসিতে সংরক্ষিত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ, সাইবার সন্ত্রাসীদের দ্বারা চুরি হওয়ারও আশংকা তৈরি হয়। এমতাবস্থায়, অভ্যন্তরীণ ও বহির্গত নেটওয়ার্কগুলোকে নিরাপদ এবং তথ্যভাণ্ডারসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এনটিএমসি সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে অত্যাধুনিক সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার (SOC) স্থাপন করেছে।
নিজেদের সাইবার নিরাপত্তার পাশাপশি দেশমাতৃকার সাইবার স্পেসের সুরক্ষা জোরদারকণের লক্ষ্যে এনটিএমসি ‘সবার আগে দেশ’ এই মূলমন্ত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ কারিগরি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গত ১৮ অক্টোবর এনটিএমসিকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।