নিজস্ব প্রতিবেদক
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন মুখ বন্ধ করে ছিলাম। এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য-বিরোধ সুরাহার পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্ববায়ক শেখ আব্দুন নুর। বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ।
ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই রাষ্ট্র ও সমাজের ভালো চাই। এটা আমাদের ঐক্যমতের ভিত্তি। আমরা দীর্ঘদিন মুখ বন্ধ করে ছিলাম। এখন সেই বাধামুক্ত। আমরা এখন কথা বলতে পারছি। কিন্তু তার মানে এই নয়, যা ইচ্ছা তাই বলতে হবে। যারা নীতি নির্ধারণে আছেন তাদের সব কিছু নিয়েই ভাবতে হবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমান পরিস্থিতি একা সামাল দিতে পারবে না। তাই সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র-শক্তি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার ছাড়া আমরা সামনে এগোতে পারবো না। আগামী জানুয়ারির মধ্যে যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদায় নিতে পারে, তাহলে এটা হবে তার সবচেয়ে বড় সাফল্য।’
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সকলের ঐক্যের জন্যই ৫ আগস্টের জন্ম হয়েছে। আমরা গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারি নাই। মত প্রকাশ করতে পারি নাই। গণতন্ত্র মনেই হলো আমি স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারবো। এখন বলা হচ্ছে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের কথা। কিন্তু এই যৌক্তিক সময় আসলে কতদিন? যৌক্তিক সময় পরিষ্কারের জন্য সংস্কারের রোডম্যাপ ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।’
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘কীভাবে আমরা বহু মতাদর্শের মধ্যকার বিরোধ নিরসন করতে পারি এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ও বিসমিল্লাহ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নগুলোর সুরাহা করতে গেলে মতাদর্শগুলো মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে কিনা আমরা জানি না। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতো বক্তব্য দিতে শুরু করেছে। কেউ বলছে- বেশি সময় নেন, কেউ বলছে- দ্রুত নির্বাচন দেন। এই অবস্থায় সংবিধান, নির্বাচনের প্রশ্নে বিরোধ অবশ্যই হবে। অর্থাৎ সংস্কারের জায়গাটা আমরা তৈরি করতে পারছি না।’
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত