মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নতুন সিদ্ধান্তে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বেলজিয়ামের ভবিষ্যৎ রানি রাজকুমারী এলিজাবেথ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির মেয়ে ক্লিও কার্নি।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তারা (হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়) মার্কিন শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এরপরই হার্ভার্ডের একাডেমিক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এই দুই প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যদের নাম উঠে এসেছে আলোচনায়।
রাজকুমারী এলিজাবেথ: ভবিষ্যৎ রানি কিন্তু অনিশ্চিত শিক্ষাজীবন
২৩ বছর বয়সী রাজকুমারী এলিজাবেথ বর্তমানে বেলজিয়ামের রাজসিংহাসনের উত্তরসূরি। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। বর্তমানে তিনি গ্রীষ্মের ছুটিতে ব্রাসেলসে অবস্থান করছেন। কিন্তু হার্ভার্ডে তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়েই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
বেলজিয়ামের রাজপ্রাসাদ সূত্র জানিয়েছে, তারা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং হার্ভার্ড ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ক্লিও কার্নি: কানাডার প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য
ক্লিও কার্নি কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির কন্যা। তিনি হার্ভার্ডে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পরিবেশ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই নীতির ফলে তাকেও একই ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে হয়েছে।
হার্ভার্ডের প্রতিক্রিয়া ও আইনি লড়াই : হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলাও করেছে, যেখানে বলা হয়েছে এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার স্বাধীনতা ও অভিবাসন নীতির পরিপন্থী। আদালত আপাতত সিদ্ধান্তটি স্থগিত করেছে. কিন্তু চূড়ান্ত রায় এখনও বাকি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা তাদের সকল শিক্ষা দেশি ও বিদেশি উভয়ের পড়ালেখার অধিকার নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সূত্র: এনডিটিভি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ