প্রায় ২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জাকির হোসেন গালিব।
আদেশে আদালত বলেন, প্রয়োজনে তাকে এক দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে, ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বিমানবন্দর থেকে দুদক পরিচালক আব্দুল মাজেদের নেতৃত্বে গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুর সোয়া ২টায় তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। একই দিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীর কাছে মামলার কাগজপত্র না থাকায় শুনানি পেছাতে আবেদন করেন তারা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
সেই অনুযায়ী আজ রিমান্ড শুনানির জন্য তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলমসহ বিএনপিপন্থি বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে তার রিমান্ড নামঞ্জুর করে আদেশ দেন বিচারক।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আলমগীরের নামে এবং পারিবারিক ব্যয়সহ ৮১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য রয়েছে। বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া গেছে ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭ টাকা। সেই হিসেবে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন প্রায় ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
এর আগে, গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের একটি অভিযোগ ২০২৩ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
বিডি প্রতিদিন/কেএ