শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

গান্ধীর ধাঙড়গিরি ও \\\'স্যার\\\' উপাধির ইতিবৃত্ত

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
গান্ধীর ধাঙড়গিরি ও \\\'স্যার\\\' উপাধির ইতিবৃত্ত

এক. 'May I Come in Sir'- মুণ্ডটা কচ্ছপের মতো করে দরজা গলে কক্ষের ভেতরে ঢুকিয়ে কিঞ্চিৎ ভয় মিশেল গলায় উপরোক্ত কথাগুলো বললাম আমি। প্রতিউত্তরে ভদ্রলোকটি বললেন- Yes, please come in. তাকে দেখেই একেবারে চমকে উঠলাম আমি। মানুষটি দেখতে অনেকটাই ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জন মেজরের মতো। সেই শুভ্র সফেদ ধবধবে সাদা কেস বিন্যাস। দুজনেরই প্রায় একই রকম মুখাবয়ব। পার্থক্য শুধু এতটুকুই- জন মেজর খানিকটা শীর্ণকায় ও লম্বাটে, অন্যদিকে এই মানুষটি ঈষৎ খর্বকায় ও হৃষ্টপুষ্ট। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল যে, আমার কোর্স ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ও ডিন, প্রফেসর ফিলিপ থমাসকে। আর সে জন্যই আমি এসেছি তার সঙ্গে মোলাকাত করতে। আমি তাকে সাড়ম্বরে 'স্যার' সম্বোধন করে আমাদের মধ্যকার কথোপকথনের সূত্রপাত করলাম। আর এতেই ঘটল বিপত্তি। উনি খানিকটা অপ্রসন্ন ও উষ্মা কণ্ঠে বললেন- Who is your Sir! I’m not your Sir. My name is Phillip Thomas. You can call me ‘Phill’. প্রফেসর থমাসের কথাগুলো শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। একি বলছেন তিনি! যিনি বয়সে আমার বাবার চেয়েও বড়; তিনি কি না আমাকে বলছেন তার নাম ধরে ডাকতে! তাও আবার তার প্রথম নাম 'ফিল' বলে! আমাদের সংস্কৃতিতে শুধু মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবসহ একান্তই কাছের কিছু মানুষ সাধারণত আমাদের উপনামগুলো ডাকার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু তিনি কেন আমাকে সে অধিকার প্রদান করছেন? পরে অবশ্য জেনেছি, পাশ্চাত্যে কালক্রমে আধুনিক যুগে এটাই এখন তাদের সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে।

প্রফেসর ফিল থমাস আমাকে বললেন, 'ঔপনিবেশিকতার যুগ অতিক্রম করে আমরা এখন বহুদূর চলে এসেছি। এখন আর স্যার-ট্যার ডাকার সুযোগ নেই। তোমরা এশিয়ানরা এখানে এসে কেন যে আমাদের স্যার ডাকা শুরু করে দাও, বুঝি না।' ফিলিপ থমাস ঠিকই বলেছেন, স্যার, মাইলর্ড, হুজুর, ধর্মাবতার- এই সম্মানসূচক অনুষঙ্গগুলো প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দ্রুত বিস্তার লাভ করেছিল সেই ঔপনিবেশিক সময়ে অর্থাৎ ইংরেজরা যখন প্রথম ভারতবর্ষে আসে। তবে এসব শব্দের উদ্ভব হয় ইউরোপে সেই সামন্ত যুগে। 'স্যার' শব্দের উৎপত্তি ফরাসি দেশে, সেখানে জমিদার বা সামন্ত প্রভুদের প্রজারা সম্বোধন করত 'স্যায়ার' বলে, সেই 'স্যায়ার' শব্দটি কালক্রমে বারোশ শতকের দিকে ঢুকে পড়ে ইংরেজি ভাষায়। পৃথিবীতে সামন্ত ও ঔপনিবেশিকতার যুগ শেষ হলেও সেসব যুগের ভূতগুলো এখনো চেপে আছে আমাদের ঘাড়ে।

পাশ্চাত্যে আধুনিক যুগে ছাত্র-শিক্ষক, আমলা-প্রজাসহ অন্য সব সম্পর্ক সহজ সাবলীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে আসছে; কিন্তু আমরা সেই পুরনো সংস্কৃতিতেই আটকে আছি। পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলোতে স্যার শব্দটিকে এখন অনেকটাই খেলো কিংবা হালকা করে ফেলা হয়েছে। আর সে জন্যই আমরা দেখি আমেরিকাতে রাগবি খেলার কোচকে যেখানে স্যার বলা অনেকটাই বাধ্যতামূলক, সেখানে সর্বোচ্চ পদের মানুষটি অর্থাৎ রাষ্ট্রপতিকে মাননীয় কিংবা মহামান্য তো অনেক দূরের কথা, তাকে শুধু সম্বোধন করা হয় মি. প্রেসিডেন্ট। উত্তরজীবনে প্রফেসর ফিল থমাসের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এক অন্যরকম অন্তরঙ্গতায় পৌঁছেছিল। আইন পড়ার শেষ পর্যায়ে এসে ব্যারিস্টারিতে ভর্তি হওয়ার সময় তিনি আমার শিক্ষাজীবনের ওপর এমন একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলেন যে, আমি যে পাঁচটি ইনস্টিটিউটে আবেদন করেছিলাম সম্ভবত হাতেগোনা গুটিকয়েক ছাত্রের মতো আমিও পাঁচটি (একজন ছাত্র সর্বোচ্চ পাঁচটি ইনস্টিটিউশনে আবেদন করতে পারে) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তির আমন্ত্রণপত্র পেয়েছিলাম। এটি আমার জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা। বেশ কয়েক বছর আগে প্রফেসর ফিল থমাস ঢাকায় এসেছিলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। আমি সেই সময় অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ব্যাংককে ছিলাম বলে তার সঙ্গে দেখা হয়নি। বন্ধু ব্যারিস্টার জুনায়েদ ও অনুজপ্রতিম ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুকের কাছে আমার অনেক খোঁজখবর নিয়েছিলেন বলে শুনেছিলাম। আমার সঙ্গে দেখা হয়নি বলে দুঃখও করেছিলেন।

দুই. ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য কার্ডিফ থেকে চলে এলাম লন্ডনে। যা হোক, লন্ডনে এসে আমি দ্রুতই শহরটিকে ভালোবেসে ফেললাম। চারদিকে আভিজাত্যময় উঁচু উঁচু হর্ম্য। নদী, প্রাসাদ, পার্লামেন্ট, শপিংমল... কী নেই শহরটিতে। আধুনিক চাকচিক্যে ইউরোপের বোধকরি আর কোনো শহর এর সামনে দাঁড়াতে পারে না। তবে এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্যারিস। লন্ডন যদি ব্যারিস্টারদের সেকেন্ড হোম বলে বিবেচিত হয়, তবে শিল্পী-সাহিত্যিকদের জন্য ফার্স্ট হোম হচ্ছে প্যারিস। সাহিত্য, কবিতা, নন্দনতত্ত্ব, বিজ্ঞান, শিল্পকলায় কার চেয়ে কে এগিয়ে এই প্রতিযোগিতা চলছে যুগ যুগ ধরে এ দুটি শহরের মধ্যে। এহেন অসাড় প্রতিযোগিতায় দুই শহরকেই খুশি করে উপন্যাস লিখেছিলেন চার্লস ডিকেন্স 'এ টেল অফ টু সিটিস'। বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক বালজক দুই শহরকে একসঙ্গে খুশি করতে স্টাইল ও ফ্যাশন সম্পর্কে একটি অসাধারণ কথা বলেছিলেন সেই কবে; যা আজও সমান সত্য বলে বিবেচিত হয় “What is French Fashion in London is English Fashion in Paris” অর্থাৎ লন্ডনে যা ফরাসি ফ্যাশন হিসেবে চলে, সেটাই আবার প্যারিসে চলে ইংরেজি ফ্যাশন বলে।

বড় বড় ইমারত, প্রাসাদ, পার্লামেন্ট, শপিংমল ঘুরে বেড়িয়ে আমি যখন আত্দপ্রসাদের স্বগতোক্তি করছি যে, আমি লন্ডনের সব কিছু দেখে ফেলেছি, সেই সময় আমার এক অগ্রজ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি মোহাম্মদ আল ফায়াদের বিখ্যাত শপিংমল 'হ্যারোডস্' দেখেছি কি-না? আমি বললাম, না। তিনি পরামর্শ দিলেন সেই শপিংমলটি ঘুরে দেখতে। যা হোক, এক দিন হাতে সময় নিয়ে সকাল সকাল চলে গেছি বিখ্যাত সেই শপিংমল হ্যারোডস্ দেখতে। শপিংমলের মূল ফটকটি দিয়ে প্রবেশ করতেই চিরাচরিত সুসজ্জিত বেশ-ভূষার একজন দারোয়ান মাথাটি ঈষৎ নিচে নামিয়ে হাত দুটি সম্প্রসারিত করে বলতে লাগলেন- 'আসুন স্যার আসুন, ভিতরে আসুন'। প্রথম দর্শনেই লোকটিকে আমার বেশ পরিচিত মনে হলো। ভেতরে প্রবেশ করে আমি এক দোকান পরিচারিকাকে জিজ্ঞেস করলাম- আচ্ছা, শপিংমলের মূল প্রবেশমুখে যে দারোয়ানটি দাঁড়িয়ে আছে তাকে বেশ চেনা চেনা লাগছে। উনি কি মোহাম্মদ আল ফায়াদের সহোদর? দোকানি স্মিত হেসে আমাকে বললেন- আপনি ঠিকই ধরেছেন স্যার; তবে উনি আসলে মোহাম্মদ আল ফায়াদের সহোদর নন। উনি স্বয়ং হ্যারোডসের মালিক মোহাম্মদ আল ফায়াদ। মোহাম্মদ আল ফায়াদকে আমি বেশ ভালো করেই চিনতাম। কারণ সেই সময়টায় মোহাম্মদ আল ফায়াদ ও বিখ্যাত জাঁদরেল এক ব্রিটিশ এমপি নীল হ্যামিল্টনের মধ্যে ঘুষ আদান-প্রদানের একটি মোকদ্দমা চলছিল। ফলে সেই সময়ে প্রায়ই ফায়াদ ও নীল হ্যামিল্টনের ছবি ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোতে বেশ বড় বড় সাইজে ছাপা হতো। দোকান পরিচারিকার কাছ থেকে আমি যখন জানলাম যে, দারোয়ানটি আসলে স্বয়ং মোহাম্মদ আল ফায়াদ, তখন খানিকটা বোকামো ও নির্বুদ্ধিতা ভর করল আমার মাথায়। আমি দু-তিনবার করে হ্যারোডস্ শপিংমলে প্রবেশ করলাম ও বের হলাম। শুধু মোহাম্মদ আল ফায়াদের মুখ থেকে 'স্যার প্লিজ ভিতরে আসুন...' কথাগুলো বার বার শোনার জন্য। ঘোরাঘুরি শেষ করে অপরাহ্নে পাতাল রেলে যখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলাম ট্রেনে বসে- নিজের বোকামির কথা চিন্তা করে নিজেই নিজের কাছে অপ্রস্তুত ও হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছিলাম এই ভেবে যে, উত্তপ্ত রোদেলা দুপুরে মোহাম্মদ আল ফায়াদ নিজে দারোয়ান সেজে যতই 'স্যার' 'স্যার' বলুক; বেলা শেষে কিন্তু তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। আর আমি সেই কপর্দকশূন্য এক আইনের ছাত্র।

তিন. সম্ভবত ঘটনাটি ১৯১৫ সালের জানুয়ারির একেবারে প্রথম দিকের। ইন্ডিয়ান কংগ্রেস পার্টির সভা হচ্ছে কলকাতায়। কংগ্রেসের মধ্যমণি গোপাল কৃষ্ণ গোখলে একটি টেবিল পেতে চেয়ারে বসে দলীয় নানা কাজের ফর্দ তৈরিতে ব্যস্ত। এমন সময় জনৈক ব্যারিস্টার সন্তর্পণে একটি ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিলেন গোখলের হাতে এবং বললেন- স্যার, আমি এসেছি গুজরাটের রাজকট থেকে। মাথাটি না তুলেই ভিজিটিং কার্ডটিতে চোখ বুলালেন গোখলে। কার্ডটিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে- 'মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী, ব্যারিস্টার-এট-ল, ইনার টেম্পল'। গোখলে কার্ডটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে উঠে এক গভীর আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরলেন গান্ধীকে। গান্ধী ও গোখলে দুজন দুজনার পরম বন্ধু। ১৯১২ সালে গোখলে সাউথ আফ্রিকা ঘুরে এসেছেন গান্ধীর আমন্ত্রণে। তার অহিংস আন্দোলনের দারুণ ভক্ত তিনি। অন্যদিকে গান্ধী তার শুভানুধ্যায়ী, পরামর্শক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচনা করেন গোখলেকে। গান্ধী গুজরাটের রাজকট থেকে ছুটে এসেছেন কলকাতায়; নিজেকে কংগ্রেসের কোনো কাজে লাগে কি-না সেই বিবেচনায়। প্রথমেই গান্ধী লক্ষ্য করলেন যে, সভাটিতে এত মানুষের সমাগম অথচ পয়ঃনিষ্কাশন ও স্যানিটারি সুবিধার বেহাল অবস্থা। অন্যদিকে কলকাতায় তখন মেথর সম্প্রদায়ের ধর্মঘটের কারণে শৌচাগারগুলো উপচে পড়ছিল মানুষের মল ও বিষ্ঠায়। গান্ধী লক্ষ্য করলেন- যে ভবনটিতে পার্টির ক্যাম্প করা হয়েছে সেই ভবনটির বারান্দায় পর্যন্ত কেউ কেউ পুরীষ ত্যাগ করে রেখেছে তার দুর্গন্ধে যেখানে টেকাই দায়। কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বললেন- 'ভাইসব ভারত মুক্তির আগে আসুন আমরা এই দুর্গন্ধময় নোংরা বর্জ্য থেকে মুক্ত হই।' রেকর্ডপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, এই কাজে সেদিন তাকে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি, তাকে একাই করতে হয়েছিল সব কাজ। কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার প্রথম আলো উপন্যাসে লিখেছিলেন ত্রিপুরা মহারাজের অবৈধ পুত্র ভরতসিং নোংরা পরিষ্কারের এই কাজে গান্ধীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। এ ঘটনা থেকে হয়তো মনে হতে পারে, জীবনে এই প্রথম হয়তো তিনি সবাইকে অবাক করে দেওয়ার জন্য এই কাজে লিপ্ত হয়েছিলেন। আসলে কিন্তু তা নয়, তিনি যখন মাত্র ১২ বছরের কিশোর, তার রাজকোটের বাড়িতে যে মহিলাটি তাদের শৌচাগার পরিষ্কার করত তার নাম ছিল উকা, গান্ধীর মা গান্ধীকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতেন- গান্ধী যদি উকাকে স্পর্শ করে তবে তাকে সমস্ত রাত ঘরের বাইরে কাটাতে হবে এবং তাকে স্নান সেরে তবেই ঘরে প্রবেশ করতে হবে। উত্তরে কিশোর গান্ধী তার মা-কে বলেছিল- রামায়ণে, গুহাকা নামে এক চণ্ডালকে রাম যখন আলিঙ্গন করেছিল, তাতে রামের জাত গিয়েছিল কি না? কিশোর গান্ধীর মুখে এসব কথা শুনে গান্ধীর মা পুতলীবাই আর কোনো কথা বলতে পারলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময়ও তার নিজ ঘরের নোংরা পুরীষ তিনি নিজেই পরিষ্কার করতেন এবং ভার্যা কস্তুরবাকে তিনি উৎসাহ জোগাতেন এই কাজ করতে। কিন্তু তার স্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করলে তিনি তাকে ভর্ৎসনা করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ধাঙড়গিরি কিংবা ঝাড়ুদার হিসেবে গান্ধীর বেশ নাম ডাক ছিল, সেখানে তার বন্ধু-বান্ধবরা প্রায়ই তাকে দুষ্টামি করে মেথর গান্ধী বলে ডাকতেন। সে দেশে প্রথমবার যখন তাকে গারদে পোরা হলো, তিনি স্বেচ্ছায় সেখানকার শৌচাগারের বর্জ্য পরিষ্কার করতে চাইলেন। এর পর থেকে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে দিয়েই সব সময় জেলের মলমূত্র পরিষ্কার করাতেন। ভারতেও তিনি কংগ্রেস কিংবা অন্যান্য সভা-সমিতিতে স্থাপিত অস্থায়ী শৌচাগারগুলোর নোংরা বর্জ্য নিজে উদ্যোগী হয়ে পরিষ্কার করতেন।

চার. কয়েক দিন আগে জাতীয় সংসদে আমাদের এক মাননীয় মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান নেতা বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে যথেচ্ছা গালমন্দ করলেন। আমি মনে করি, নিন্দে-মন্দ করার অধিকার তার যথেষ্ট রয়েছে। পৃথিবীতে কেউই আলোচনা ও সমালোচনার ঊধের্্ব নয়, কিন্তু তার কিছু সীমা কিংবা ভাষা-পরিভাষা থাকে। প্রায় পঞ্চাশ বর্ষীয় একজন মানুষকে এভাবে তুইতোকারি করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখা দরকার। ওই মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির ওই সিনিয়র নেতার বাবা তাকে স্যার স্যার বলে মুখে ফেনা তুলতেন। এ ব্যাপারে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। ইতিহাসে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যই নির্ধারিত হয় তার কর্ম ও দর্শন দ্বারা। জীবনে চলার পথে গান্ধী, আব্রাহাম লিংকন, ম্যান্ডেলার মতো নেতারা হরহামেশাই হয়তো অনেককে স্যার বলে সম্বোধন করেছেন। কেউ কেউ মানুষের মলমূত্রও পরিষ্কার করেছেন। এতে করে তারা কেউ কারও কাছে ছোট হয়ে যাননি। বরং তাদের এই আত্দত্যাগ ও কর্ম তাদেরকে ইতিহাসে অনেক উঁচুতে স্থান করে দিয়েছে। আমাদের জাতির বড়ই দুর্ভাগ্য যে মানুষগুলো একটি দেশকে স্বাধীন করার সঙ্গে যুক্ত। যারা তাদের কর্ম, দর্শন ও চিন্তাশক্তি দ্বারা অনায়াসে ইতিহাসে একটি বড় জায়গা করে নেওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন তারা প্রায়ই নিজেদের মর্যাদার প্রতি সুবিচার করতে পারেন না। শত কিংবা অর্ধশত বছর পর অসংলগ্ন রাজনীতির উদাহরণ তুলে ধরতে গিয়ে যখন আর্কাইভ থেকে সেসব ভাষণ-উক্তি বার বার বাজিয়ে শোনানো হবে তখন তাদের নাতি-পুতিরা কেউ হয়তো দুঃখ কিংবা আক্ষেপ করে বলবেন- 'হায়রে আমাদের পিতামহ কিংবা প্রপিতামহরা যদি কিছু ভালো কথা ও কাজ করে যেতেন তাহলে আজ আমরা সেগুলোর ফল ভোগ করতে পারতাম।' শুধু প্রবীণদের কথাই বা কেন বলি? বিভিন্ন সভা-সমিতিতে কিংবা কোর্ট প্রাঙ্গণে অপেক্ষাকৃত কিছু তরুণ নেতার আচরণ দেখে মনে হয়, যেন তারা ইতিমধ্যে মন্ত্রী-মিনিস্টার কিংবা দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কিছু একটা হয়ে গেছেন। তাদের এই বাগাড়ম্বর ও আস্ফালন দেখে অদৃষ্টের দেবতা অন্তঃরীক্ষে বসে নিশ্চয়ই অট্টহাসি হেসে বলেন, "ওরে মূর্খ, ইতিহাস খুলে দেখে নে, ইতিহাস কীভাবে রচিত হয়। একদল যখন আত্দঅহমিকা ও নিজের অসাড় শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর কাজে ব্যস্ত আরেক দল তখন নিভৃতে ও সবার অলক্ষ্যে ইতিহাস তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। জীবনানন্দ দাশ, কমলকুমার মজুমদার, শহীদুল জহির প্রমুখ এদের মধ্য থেকে কিছু প্রকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যদিকে আরেক দল আছেন, যারা ভিন্নরকম ও অতি সাধারণ জীবনযাপন করে এবং জনমানুষের জন্য ব্যতিক্রমী কিছু কর্ম ও দর্শন প্রদান করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রচিত করে যান এক সুমহান ইতিহাস। আব্রাহাম লিংকন, মহাত্দা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা প্রমুখ। তাদের মধ্যে কিছু প্রজ্বল্যমান উদাহরণ।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
কৃত্রিম সারসংকট
কৃত্রিম সারসংকট
খানাখন্দে ভরা সড়ক
খানাখন্দে ভরা সড়ক
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার
ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা
মরণযাত্রা
মরণযাত্রা
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
সর্বশেষ খবর
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন
বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন

৩০ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি
রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল
গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর
বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি
বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি
চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই
প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ
আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ

৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ
নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা
লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান
রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল
এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা
দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস
১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প
গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে
কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি
আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত
দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ
অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প
ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ
ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর
‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প
হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু
প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলনে থাকছেন না হামাস-ইসরায়েল
ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলনে থাকছেন না হামাস-ইসরায়েল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিশরে শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের সাথে থাকছেন যারা
মিশরে শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের সাথে থাকছেন যারা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’
‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা
জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা

১৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা
ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন
ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’
‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান
পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
কিছুই থাকে না বিএনপির
কিছুই থাকে না বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার
রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

পেছনের পৃষ্ঠা

কতটা প্রস্তুত হামজারা?
কতটা প্রস্তুত হামজারা?

মাঠে ময়দানে

জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত
জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত

পেছনের পৃষ্ঠা

ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ
ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের
সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

টিকা মানেই টাকা
টিকা মানেই টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা
বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ
এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ

নগর জীবন

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে

নগর জীবন

আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে
আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি

পেছনের পৃষ্ঠা

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম
সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে

নগর জীবন

উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর
উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর

নগর জীবন

সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর
সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে
জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে

নগর জীবন

বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা
বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা

নগর জীবন

পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে
পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পাক-আফগান সংঘাতও বন্ধ করতে চান ট্রাম্প
পাক-আফগান সংঘাতও বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই আগস্টে মানবতাবিরোধী ব্যাপক অপরাধ
জুলাই আগস্টে মানবতাবিরোধী ব্যাপক অপরাধ

প্রথম পৃষ্ঠা

জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার

সম্পাদকীয়