বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফেনীর একরাম হত্যার রায় ১৩ মার্চ

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার রায় ১৩ মার্চ ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে সব আসামির জামিন বাতিল করেছে আদালত। গতকাল ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক যুক্তি-তর্কের শেষ দিন এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন। ২০১৪ সালের ২০ মে শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে তৎকালীন ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরামকে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার ঘটনায় জড়িত হত্যাকারীরা একের পর এক গ্রেফতার হতে থাকলে মুখোশ উন্মোচিত হয় ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী। বেরিয়ে আসে সরকারদলীয় অন্তঃকোন্দলের কারণে হত্যা করা হয় একরামকে। হত্যার সঙ্গে জড়িত রাঘব-বোয়ালদের নাম বেরিয়ে এলে গা-ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে যায় হত্যাকারীরা। হত্যার পর ফুঁসে ওঠেন এলাকাবাসী। হরতাল-অবরোধ-বিক্ষোভসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা। একরাম হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। হত্যার ১২০ দিন পর ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ৫৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। আদালত ওই বছরের ১২ নভেম্বর আলোচিত এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অভিযোগপত্র দাখিলের ১৬ মাস পর ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ আদালত মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন।

পরে সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত আদালত মামলার বাদী একরামের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম, ছোট ভাই এহসানুল হক, নিহতের স্ত্রী তাসমিন আক্তার, গাড়িচালক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ৪৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। অভিযোগপত্রে পুলিশ ৫৯ জনকে সাক্ষী করেছিল। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে ১৬ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যায় ব্যবহৃত কয়েকটি চাপাতি ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এ মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন ৩৬ জন। নয়জন জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া শুরু থেকে পলাতক আছেন ১০ জন। একজন জামিনে থাকা অবস্থায় র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর