বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
বিজয় দিবসের আলোচনায় বিএনপি

একদলীয় শাসন থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান বিজয় দিবসের আলোচনায় বিএনপি বলেছে, বর্তমান একদলীয় শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। গতকাল সন্ধ্যায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করে বলা হয়, জনগণের জাগরণের মধ্য দিয়ে আমরা পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারব। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থার  ছদ্মবেশ থেকে দেশকে বের করে আনতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। জনগণকে জাগিয়ে তুলতে না পারলে কোনো দিন কোনো আন্দোলনই সফল হয় না। তাদের জাগরণের মধ্য দিয়েই অতীতে বাংলাদেশের সব বিজয় আমরা অর্জন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, সেই জাগরণের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারব। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৪৯ বছর পরে আজকে বিভাজন এমন এক পর্যায় চলে গেছে শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, প্রশাসনিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও। এমনকি কেউ এখন আর আওয়ামী লীগের একজন ছেলের সঙ্গে বিএনপির বা অন্য দলের বিয়ের কথাও চিন্তা করতে পারছে না। এটাই আজ বাস্তবতা। আজকে জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে যাদের বেতন হয় সেই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা রাজপথে বিভিন্ন জায়গায় একটা বিশেষ দলের পক্ষে সভা বা মিছিল করেন। জনগণকে ধমক দেন। এটা সত্যিই দুঃখজনক। জনগণকে ধমক দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা পুরোপুরি  স্বৈরতন্ত্র। আজকে ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে চেপে বসেছে।  সেই ফ্যাসিবাদকে সরাতে হলে, স্বৈরতন্ত্রকে সরাতে হলে আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাসকে পাল্টিয়ে দিতে চায়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে অবশ্যই বিএনপিকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই।  গণতন্ত্রের লেবাসে একটা কর্তৃত্ববাদী স্বৈরতন্ত্র দেশে চালু আছে। এ জন্য আজকে ৩টি এজেন্ডা আমাদের সামনে এসে পড়েছে। একটা সংগঠন, আরেকটা হলো আন্দোলন এবং নির্বাচন। আন্দোলন ও নির্বাচনের জন্য আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্ল্যাটফরম তৈরি করতে হবে। পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবী সবাইকে নিয়ে এক ঐক্যের প্ল্যাটফরম তৈরি করে এই আন্দোলনের সূচনা করতে হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আওয়ামী লীগ স্বাধীন দেশে ফেরত এসে স্বাধীনতার গল্প শুনেছে এদেশ কীভাবে স্বাধীন হয়েছে, কারা স্বাধীন করেছেন, কে স্বাধীন করেছেন- সেই গল্প তারা শুনেছে।

সর্বশেষ খবর