বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সেপা নিয়ে ২১ ডিসেম্বর আলোচনা, আজ দিল্লি যাচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট- সুসংহত আর্থিক সহযোগিতা চুক্তি (সেপা) নিয়ে নয়াদিল্লিতে ২২-২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা। এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে বুধবার নয়াদিল্লি আসছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি আসছেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের আমন্ত্রণে। এ আলোচনার পরই হবে দুই দেশের অফিসার পর্যায়ে চুক্তি চূড়ান্ত করার আলোচনা। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ডিসেম্বরে সেপা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ যখন স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে তখন সেপা কার্যকর হবে। ইতোমধ্যে দুই দেশ সেপা কার্যকরের জন্য সম্ভাব্য সমীক্ষা রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। দুই প্রধানমন্ত্রী তাতে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন বলে যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেপা ছাড়াও দুই বাণিজ্যমন্ত্রী পাটের পর অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানানো হয়েছে।

পাটের ওপর ২০১৭ সালে শুল্ক চাপানো হয়। তার মেয়াদ রয়েছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে শুল্ক প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারিত হতে পারে বৈঠকে। আলোচনায় প্রাধান্য পাবে চাল-গমের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিয়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় নয়াদিল্লি বাংলাদেশি পণ্য বিনাশুল্কে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রেল-জল পথ ও বিমানবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করা যেতে পারে। এ ছাড়া ভারত বন্দরগুলো ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এসব বিষয় বাস্তবায়ন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশ চাইছে নতুন রেলপথ চিলাহাটি-হলদিবাড়ী দিয়ে ভুটানে পণ্য রপ্তানি। এখন বিষয়টি নিয়ে ভুটানের সম্মতির অপেক্ষায় ভারত। ভারত আখাউড়া-আগরতলা শুল্কবন্দর নেতিবাচক তালিকা থেকে মুক্ত করে অবাধ পণ্য সরবরাহের আর্জি জানিয়েছে যাতে ভারতের উত্তর-পূর্বে অবাধে পণ্য সরবরাহ করা যায়। এ ছাড়া পেট্রাপোল-বেনাপোল দ্বিতীয় শুল্কবন্দর খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত তারিখ নির্দিষ্ট হবে। ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য কভিড থাকা সত্ত্বেও রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমানে এর পরিমাণ ১৮.১৪ বিলিয়ন ডলার। একে যাতে আরও বাড়ানো যায় এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্যই দ্রুত সেপা বাস্তবায়ন করাই লক্ষ্য। সমীক্ষায় বলা হয়ছে, সেপা কার্যকর হলে বাংলাদেশের বাণিজ্য দেড় শ গুণ বেড়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর