সরকারি কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানা তাহসানের (২৯) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চানখাঁরপুলের নিজ বাসায় বন্ধুরা দরজা ভেঙে রানাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পান। দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে চানখাঁরপুলের ওই বাসায় আত্মহত্যা করেন রানা। তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার জান্নাতি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক।

রানার লাশ উদ্ধারকারী সহপাঠী বন্ধু ইমরান হোসেন বাবু জানান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন রানা। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারীতে। বাবু বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে রানার খুব মন খারাপ ছিল। একাকী থাকতে চাইত। চুপচাপ থাকত। তবে কী চিন্তা করত সে ব্যাপারে কিছু বলত না। তাই আমি তাকে বলেছিলাম, বন্ধু, তুমি কিছুদিনের জন্য কক্সবাজার ঘুরে আসো।’

ঢামেকসূত্রে জানা গেছে, রানার স্ত্রী সানজিদা ঢামেক মর্গের সামনে রাত দেড়টার সময় আহাজারি করছিলেন। রানার স্বজনরা বলছেন, এক বছর আগে তার বাবা মারা যান। তার আরেক ভাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত নভেম্বরে রানা ছাত্রলীগের সভাপতি হন। তিন বছর কষ্ট করার পরে তিনি এ পদ পেয়েছিলেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক সহসভাপতি বলেন, ‘আমরা জানতাম সানজিদার সঙ্গে রানার প্রেম ছিল। বিয়ে হয়েছিল কি না তা সঠিক জানি না।’ মৃত্যুর কারণ যা-ই হোক, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল রহস্য উন্মোচন করে বিচারের দাবি জানান তিনি।

রানার পরিবারের বরাত দিয়ে ডিএমপির চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জায়েন উদ্দীন মুহাম্মদ যিয়াদ জানান, ‘ওয়াসিম রানা আত্মহত্যা করেছেন। তার পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ নেই। প্রেমঘটিত কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।’