বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ছোড়া প্রতিটি গুলি ও রক্তের হিসাব নেওয়া হবে। আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার ১৭ বছরে দেশে নারকীয় গুম-খুন-হত্যা, জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে, তারা গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। তাদের বিচার করা হবে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে নিহত পল্লবী থানার ৩ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহসভাপতি মো. আসিব মিয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আমিনুল হক বলেন, গণহত্যাকারী প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে এবং তাদের এই বাংলার মাটিতেই বিচার করা হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ দেখবে, কীভাবে স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের শাস্তি দেওয়া হয়, বিচার করা হয়।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছরে আমাদের দলের অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী এমপি, সাজেদুল ইসলাম সুমনসহ কয়েক শ ভাইকে গুম করা হয়েছে। আজকের এই গুম দিবসে আমরা তাদের গভীরভাবে স্মরণ করছি এবং কথা দিচ্ছি, ইনশা আল্লাহ গুম-খুনের বিচার আমরা দেখব। বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা- একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং সে সরকার জনগণের কথামতো চলবে। দেশে আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম হবে না। এ সময় আমিনুল হকের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক আহসানুল হক চৌধুরী, পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি নূর সালাম, পল্লবী ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, পল্লবী থানা মহিলা দলের সদস্য সচিব সৈয়দা দিলারা পলি, থানা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক বশিরুল আলম, সদস্য সচিব সোহেল বেপারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মো. মামুন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি এমডি হালিম, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাদ জুমা আমিনুল হক রূপনগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক দোয়া মাহফিলে যোগ দেন। দোয়া মাহফিলে মহানগর উত্তর বিএনপির মাহাবুব আলম মন্টু, পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি নূর সালাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বয়ক আলী আহমেদ রাজু, থানা সদস্য ইউসুফ আলী মাদবর, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক খোকন মাদবর, সিনিয়র সহসভাপতি ইমরান মুন্সি, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মো. টুটুলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।